সুন্দরবনে বেড়াতে গিয়ে আর বাড়ি ফিরতে পারলেন না। তিনদিন নিখোঁজ থাকার পর বুধবার বিকেলে এক পর্যটকের দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। সাতজেলিয়া এলাকায় হেতালবাড়ি ঘাটের কাছে বিদ্যাধরী নদীতে মিলল দেহ।
আরও পড়ুন: সোনার কানের দুলের জন্য় শিশুকে খুন দুই প্রতিবেশী মহিলার, চাঞ্চল্য দেবগ্রামে
সোমবার সন্ধ্যার ঘটনা। কুলতলির কৈখালি থেকে ২৩ জন পর্যটককে নিয়ে সজনেখালির দিকে যাচ্ছিল এক বোট। বোটে ছিলেন নদিয়ার চাকদহের বাসিন্দা সৈকত রায়ও। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, নদী পথে বোটটি তখন সুন্দরবনের সাতজেলিয়া এলাকায় পৌঁছেছে। আচমকাই পিছলে বোট থেকে নদীতে পড়ে যান সৈকত। বিদ্যাধরী নদীতে স্রোতে চোখের নিমেষে তলিয়ে যায় তিনি। প্রথমে বোটটি নিয়ে সহযাত্রীরাই সৈকতের খোঁজ চালান নদীতে। কিন্তু ওই পর্যটকের আর খোঁজ মেলেনি। শেষপর্যন্ত খবর দেওয়া হয় সুন্দরবন কোস্টাল থানায়। বিদ্যাধরী নদীতে স্পিডবোর্ড ও ভুটভুটি নিয়ে তল্লাশিতে নামে পুলিশ। সৈকত যে বোটে ছিলেন, সেই বোটটি ও তার মালিককে আটক করা হয়। অবশেষে বুধবার বিকেলে সাতজেলিয়া এলাকায় বিদ্যাধরী নদীতে ভেসে ওঠে পর্যটক সৈকত রায়ের দেহ। এদিকে এই ঘটনার পর মৃতের সঙ্গে বোটে থাকা ২২ জন পর্যটককে পুলিশ কুলতুলি না ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, প্রতিবছর নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে সুন্দরবনে পর্যটকদের ভিড় সবথেকে বেশি থাকে। তার উপর দিন কয়েক আগে দোঁবাকি এলাকা দেখা মিলেছে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের। পিরখালির জঙ্গলে একটি বিশালাকার কুমিরও দেখতে পেয়েছেন পর্যটক। এদিকে আবার ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে বিপদও বেড়েছে সুন্দরবনে। বনদপ্তর সূত্রে, ঘূ্র্ণিঝড়ে জঙ্গলের ভিতরে অনেক জায়গাতেই বনকর্মীদের ক্য়াম্পের পাশে বেড়া ভেঙে গিয়েছে। সেক্ষেত্রে বন্যপ্রাণীদের লোকালয়ে ঢুকে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সেদিকেও নজর রাখছে বনদপ্তর।