এক সপ্তাহ আগে মালদহে এক তরুণীর অগ্নিদগ্ধ দেহ উদ্ধার হয়। অবশেষে আংটি, হাতের বালা ও পায়ের সুতো দেখে মৃতাকে শনাক্ত করলেন পরিবারের লোকেরা। গত ২ ডিসেম্বর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: অবশেষে চাঁদ ছুলেন বামন দম্পতি, দাম্পত্য জীবনের ১০ বছর বাদে সন্তান
হায়দরাবাদ গণধর্ষণ কাণ্ডে যখন উত্তাল গোটা দেশ, তখন মালদহে অগ্নিদগ্ধ একটি দেহ উদ্ধার হয়। গত বৃহস্পতিবার ভোরে কাজ যাওয়ার পথে কোতুয়ালি পঞ্চায়েতে টিপাজনি গ্রামে আমবাগানে এক তরুণীর অর্ধনগ্ন ও ঝলসানো দেহ পড়ে থাকতে দেখেন গ্রামবাসীরা। চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায় পুলিশ। ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য সংগ্রহ করা হয় ফরেনসিক নমুনাও। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, ধর্ষণ করার পর ওই তরুণীকে শ্বাসরোধ করা হয়। তারপর প্রমাণ লোপাটের জন্য জ্বালিয়ে দেওয়া দেহটি। কিন্তু মৃতার পরিচয় জানা যায়নি। পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ বাড়ছিল স্থানীয় বাসিন্দাদের। শেষপর্যন্ত ওই তরুণীর পরিচয় জানতে সোশ্যাল মিডিয়ার সাহায্য নেয় মালদহ জেলা পুলিশ। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হয় ওই তরুণীর আধপোড়া হাত ও আংটির ছবি। বুধবার মালদহে এসে দেহটি শনাক্ত করলেন মৃতার পরিবারের লোকেরা।
আরও পড়ুন: বাবার মৃতদেহ সৎকার না করে বিবাহ বন্ধনে পাত্র-পাত্রী
জানা গিয়েছে, বছর চব্বিশের ওই মহিলার বাড়ি শিলিগুড়ির অম্বিকানগরে। বিবাহবিচ্ছিন্না ওই মহিলার এক ছেলে ও এক মেয়ে। পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, গত ২ ডিসেম্বর থেকে নিখোঁজ ছিলেন ওই তরুণী। তাঁর নামে মিসিং ডায়েরিও করা হয় থানায়, বিজ্ঞাপন দেওয়া হয় খবরের কাগজেও। কিন্তু শিলিগুড়ি থেকে মালদহে কেন এসেছিলেন তিনি? তা কিন্তু এখনও স্পষ্ট নয়। নৃশংস এই ঘটনায় দোষীদের কঠিন শাস্তির দাবি করেছেন মৃতার পরিবারের লোকেরা।