ভোট পরবর্তী হিংসায় আক্রান্ত হন মহম্মদ আলি এবং জুলফিকার আলি নামে দুই বিজেপি কর্মী। শনিবার বারাসাতে মৃত বিজেপি কর্মীর বাড়িতে তদন্ত সূত্রে গেল সিবিআই।
শনিবার বারাসাতে (Barasat) মৃত বিজেপি কর্মীর (BJP Leader) বাড়িতে সিবিআই।ভোট পরবর্তী হিংসায় আক্রান্ত হন মহম্মদ আলি এবং জুলফিকার আলি নামে দুই বিজেপি কর্মী। রাতে বাড়িতে ভাত খাওয়ার সময় বেধড়ক মারধর করা হয় তাঁদের বলে অভিযোগ ছিল পরিবারের।আঙুল ওঠে তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে। এদিন মৃত বিজেপি কর্মীর বাড়িতে গেল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (CBI)।
একুশের নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পর থেকেই ঘর ছাড়া ছিলেন বিজেপি কর্মী মহম্মদ আলি।প্রশাসনের তৎপরতায় বাড়ি ফিরেছিলেন তিনি। কিন্তু কয়েকদিনের মধ্যেই ফের আক্রমণ নেমে আসে মৃত মোহাম্মদ আলির উপর। গত ২৪ জুন ভোট পরবর্তী হিংসায় আক্রান্ত হন মহম্মদ আলি এবং জুলফিকার আলি নামে দুই বিজেপি কর্মী। রাতে বাড়িতে ভাত খাওয়ার সময় বেধড়ক মারধর করা হয় তাঁদের বলে অভিযোগ ছিল পরিবারের। আঙুল ওঠে তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে। যদিও সেই অভিযোগ তখন অস্বীকার করে তৃণমূল কংগ্রেস। তখন জখম অবস্থায় ওই দুই বিজেপি কর্মীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। জুলফিকার আলি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেও কিন্তু ঘরে ফেরা হয়েছিল না বিজেপি কর্মী মহম্মদ আলির। দীর্ঘ ৪৭ দিন ধরে জমে মানুষে টানাটানির পড়ে মৃত্যু হয় তার। শোকের ছায়া নেমে এসেছিল তার বারাসাতের বাড়িতে।
আরও পড়ুন, Murshidabad Crime: তৃণমূলের দাপুটে নেতাকে প্রকাশ্যে কোপ, মৃত্যু নিশ্চিত করতে গুলিবর্ষণ
ভোট পরবর্তী হিংসার নানা অভিযোগ তুলে বারবারই সুর চড়িয়েছিল বিজেপি। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের পর সেই অভিযোগের তদন্তে বাংলায় পা রাখে সিবিআই।কলকাতার পাশাপাশি জেলার একাধিক পরিবারে গিয়ে আগেই বক্তব্য নথিভুক্ত করেছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। শনিবার সাতসকালে ভোট পরবর্তী হিংসায় মৃত বিজেপি কর্মী মহম্মদ আলির বাড়িতে আসেন তদন্তকারী সিবিআই অফিসাররা। সিবিআই এর উপর পূর্ণ আস্থা আছে বললেন মৃত মোহাম্মদ আলীর দাদা আব্দুল জলিল উদ্দিন। ৪৮ দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে শেষ রক্ষা হয়নি উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বারাসাতের বিজেপি কর্মী মোহাম্মদ আলির। নিহত বিজেপি কর্মী মোহাম্মদ আলী উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বারাসাত পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের চন্দনপুর এলাকার বাসিন্দা।
বিধানসভা নির্বাচনের পর ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের শিকার হন মোহাম্মদ আলী। ১৪ জুন রাতে মায়ের সামনে ছেলে মোহাম্মদ আলীকে ব্যাপক মারধর করে দুষ্কৃতীরা। পরিবারের অভিযোগ ছিল তৃণমূল কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বাড়িতে ঢুকে হামলা চালায় বিজেপি করার অপরাধে। সেই ঘটনায় আজ সাতসকালে মৃত বিজেপি কর্মী মোহাম্মদ আলীর বাড়িতে আসেন সিবিআই আধিকারিকরা। সিবিআই আধিকারিকরা চলে যাওয়ার পরে মৃত বিজেপি কর্মীর দাদা সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, সিবিআই আধিকারিকদের উপর আমার পূর্ণ আস্থা আছে আমরা নিজেরাই চেয়েছিলাম সিবিআই তদন্ত হোক। আপনারা এসেছেন। ওরা নিশ্চয়ই খুঁজে বার করবে। এই খুনের সঙ্গে কারা কারা যুক্ত।