Murshidabad Crime: তৃণমূলের দাপুটে নেতাকে প্রকাশ্যে কোপ, মৃত্যু নিশ্চিত করতে গুলিবর্ষণ

মুখ্যমন্ত্রীর বার্তাতেও মিটছে না গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। তৃণমূলের দাপুটে নেতাকে প্রকাশ্যে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে পয়েন্ট  ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জে  থেকে গুলি করে খুনের অভিযোগ। দুষ্কৃতীদের খোঁজে চিরুনি তল্লাশি শুরু হয়েছে মুর্শিদাবাদে।

  

Web Desk - ANB | Published : Dec 11, 2021 10:43 AM IST / Updated: Dec 11 2021, 04:15 PM IST

মুখ্যমন্ত্রীর বার্তাতেও মিটছে না গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। তৃণমূলের দাপুটে নেতাকে ( TMC leader) প্রকাশ্যে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে পয়েন্ট  ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জে  থেকে গুলি করে খুনের অভিযোগ। দুষ্কৃতীদের খোঁজে চিরুনি তল্লাশি শুরু হয়েছে মুর্শিদাবাদে ( Murshidabad) ।

সদ্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুর্শিদাবাদ জেলায় সফরে এসে জনপ্রতিনিধিদের মিলেমিশে কাজ করার বার্তা দিয়ে গেছেন। তার রেশ কাটতে না কাটতেই চরম গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের সাক্ষী হতে হলো মুর্শিদাবাদের কান্দি এলাকাকে। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে তৃণমূলের দাপুটে নেতাকে কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করতে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে এলোপাতাড়ি গুলি করে খুনের ঘটনায় শনিবার ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ালো জেলাজুড়ে।  মৃত ঐ দাপুটে তৃণমূল নেতা তথা  পেশায় কান্দি ব্লক রেশন এসোসিয়েশনের সম্পাদকের নাম নেপাল সাহা। বিশেষ সূত্র মারফত জানা যায়, ঐ দাপুটে তৃণমূল নেতারসঙ্গে সম্প্রতি দলের একটা অংশের দূরত্ব তৈরি হয়েছিল যা নিয়ে রীতিমতো চাপা উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল এলাকায়। তারপরেই এই কান্ড নিজের রেশন দোকান থেকে বাড়ি ফেরার সময় কান্দির আন্দুলিয়ার ঐ দাপুটে তৃণমূল নেতা নেপাল সাহাকে জনা কয়েক দুষ্কৃতী পথ আটকে ঘিরে ধরে। তারপর দু এক কথা হতেই  ঐ দুষ্কৃতীরা প্রথমে তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপায়। পরে মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য খুব কাছ থেকে এক রাউন্ড গুলি করে। মৃত ওই তৃণমূল নেতার স্ত্রী যমুনা সাহা আন্দুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্যা।জানা গিয়েছে,  নেপালবাবু নিজের রেশন দোকানে কিছু কাজ সেরে সন্তোষপুরে গ্রামের বাড়িতে ফিরছিলেন। তিনি যখন দুর্গাপুর গ্রামের কাছাকাছি ছিলেন সেই সময় কিছু অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতী তাঁর পথ আটকে দাঁড়ায়। মৃতের পরিবার সূত্রে দাবি, নেপালবাবু যখন বুঝতে পারেন দুষ্কৃতীরা তাঁকে প্রাণে মারার চেষ্টা করছে তখন তিনি দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। কিন্তুু  আততায়ীরা তাঁকে ঘিরে ধরে এলোপাথারি কোপাতে শুরু করে। গুরুতর আহত অবস্থায় নেপালবাবুকে কান্দি মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে।

আরও পড়ুন, Home Tutors Protest: 'স্কুল-শিক্ষকদের প্রাইভেট টিউশনি বন্ধ করতে হবে', কোর্টে মামলা গৃহ শিক্ষকদের

এই ঘটনার সঙ্গে দুর্গাপুর গ্রামের জনৈক বরুণ ঘোষ, বিষ্ণু দুলুই-‌সহ স্থানীয় কিছু গ্রামবাসী জড়িত বলে অভিযোগ। মৃতের    স্ত্রী যমুনা সাহা দাবি করে বলেন, বরুণ, বিষ্ণু এবং আমার স্বামী নেপাল সাহা কয়েক বছর আগেও একসঙ্গে কংগ্রেস দল করত।  নেপালবাবুর তৃণমূল কংগ্রেসে এলাকায় গুরুত্ব বাড়তে থাকায়  বাকিদের সঙ্গে তাঁর রাজনৈতিক শত্রুতা তৈরি হয়। আর সেই কারণেই খুন হতে হল নেপালবাবুকেে"। এই খুনের ঘটনায় কান্দির তৃণমূল বিধায়ক অপূর্ব সরকার। তিনি বলেন, ‘‌নেপাল সাহা আমাদের দলের একজন অত্যন্ত সক্রিয় কর্মী ছিলেন এবং তাঁর নেতৃত্বে আন্দুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় তৃণমূলের বেশ ভাল সংগঠন গড়ে উঠেছিল। কিন্তু ঠিক কী কারণে তিনি আজ খুন হলেন তা নিয়ে আমরা সম্পূর্ণ অন্ধকারে। আমরা পুলিশকে ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত করে দ্রুত দোষীদের গ্রেপ্তার করতে অনুরোধ করেছি।’‌ শেষ পাওয়া খবরে জানা যায় ঐ দুই ব্যক্তির সহ একাধিক জনের নামে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে, তবে ঘটনায় এখনও পর্যন্তত কেউ গ্রেপ্তার হয়নি এলাকাজুড়ে তল্লাশি চলছে।

Share this article
click me!