Chandannagar Municipal Election: সময় ও অর্থ বাঁচাতে অভিনব প্রয়াস, দেওয়ালে লাগল ফ্লেক্স

চন্দননগর মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন এর ১০ নম্বর ওয়ার্ড। বাগবাজার সংলগ্ন এলাকা। তৃণমূলের প্রার্থী এখানে অজয় ঘোষ। নাম ঘোষণা হয়েছে তারপর থেকেই দেওয়াল চুনকাম করে এলাকার অধিকাংশ দেওয়ালে ফ্লেক্স লাগানো রেডি।

Jayita Chandra | Published : Jan 3, 2022 8:56 PM IST

সামনেই চন্দননগরের নির্বাচন (Chandannagar Election) , সদ্য সেই এলাকার প্রার্থী তালিকা সামনে এনেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় (Mamata Banerjee)। তারপর থেকেই প্রচারে পা বাড়িয়েছে সকলে। এমন পরিস্থিতিতে তড়িঘড়ি প্রচার কাজ সারতে অভিনব কায়দায় এবার দেওয়াল লিখনের বুদ্ধি বাতলালেন বর্তমান কাউন্সিলর অজয় ঘোষn(Ajay Ghosh)। সময় ও অর্থ দুই বাঁচাতে এবার তাক লাগালেন তিনি। হাতে বেশি সময় নেই। মাত্র কয়েকটি দিন মাত্র। তাই দেওয়াল লিখন বাদ।

তার বদলে দেওয়ালে ফ্লেক্স টাঙিয়ে দিচ্ছেন প্রার্থী। চন্দননগর মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন এর ১০ নম্বর ওয়ার্ড। বাগবাজার সংলগ্ন এলাকা। তৃণমূলের প্রার্থী এখানে অজয় ঘোষ। অজয় পর পর দুবার কাউন্সিলর পদে নির্বাচিত হয়েছেন। এবারে জিতলে হ্যাটট্রিক করবেন। গত পরশু কালীঘাট থেকে প্রার্থীর নাম ঘোষণা হয়েছে তারপর থেকেই দেওয়াল চুনকাম করে এলাকার অধিকাংশ দেওয়ালে ফ্লেক্স লাগানো রেডি। দূর থেকে দেখলে মনে হবে বোধহয় দেওয়ালে হাতেই আঁকা কিন্তু কাছে এলে বোঝা যাবে যে সেটা ফ্লেক্স।

এই অভিনব পদ্ধতিতে তাঁর আর্থিক এবং সময়ের সুরাহা হয়েছে বলে জানান অজয়। "হাতে সময় কম,লেখার শিল্পীর অভাব। এছাড়া খরচ কম, দৃশ্যদূষণ কম। ভোট মিটে গেলে দেওয়াল আবার চুনকাম করে দেওয়ার ঝামেলা নেই। শুধু দেওয়ালের মাপ দেখে ফ্লেক্সওলা কে অর্ডার দেওয়া। একদিনের মাথায় তৈরি। তারপর পেরেক দিয়ে লাগিয়ে দেওয়া।" এই জন্যই এই অভিনব প্রচার জানান অজয়। জেতার ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী অজয়। দোর্দণ্ডপ্রতাপ সিপিএম নেতা সাতবারের মেয়র অমিয় দাস কে হারিয়ে কাউন্সিলর হন অজয়।

২০১০ সালে তৃণমূল কর্পোরেশনে প্রথম ক্ষমতায় আসে । সেই নির্বাচনে এই ১০ নম্বর ওয়ার্ডে জিতেছিলেন অজয়। এদিন চন্দননগর পুরভোটে নমিনেশন ফাইল করেন অজয়। চন্দননগর কর্পোরেশনের তৃণমূল প্রার্থীদের মধ্যে সবচেয়ে লো প্রোফাইল অজয় বাবুর। এদিন তিনি যে এফিটএবিড করেন তাতে দেখা যায় তাঁর ব্যাংকে জমা মাত্র ১৭ হাজারের কাছাকাছি আর নগদ হাতে আছে ৪০ হাজারের কিছু বেশি টাকা। এখনও তিনি সাইকেলে চড়েন। বাড়িও দরমার। যার ফলে চাকচিক্যহীন এই কাউন্সিলরেই ভরসা রাখেন অভিকাংশ মানুষ, তিনি এবার সঞ্চয়ের অভিনব রাস্তা দেখালেন, দূর থেকে যা দেওয়াল লিখন, সামনে গেলে তাই হয়ে গেল ফ্লেক্স, আর এতেই সকলের নজর আটকে। 
 

Share this article
click me!