৩৩ ওয়ার্ডের চন্দননগর পুরসভায় অ্যাসিড টেস্ট, কোন ফুলে জোর বেশি-জানাবে ভোটবাক্স

চন্দননগরে এবং সংলগ্ন এলাকায় নিকাশ ব্যবস্থা নিয়ে সমস্যা ছিল ছিল দীর্ঘদিনের। ভোটের দোরগোড়ায় এই ইস্যুতে সরব হয়েছে বিজেপিও

Parna Sengupta | Published : Feb 11, 2022 2:46 PM IST

চন্দননগর পুরসভার (Chandannagar Municipal Corporation) জন্ম ১৯৫৫ সালে। পুর কর্পোরেশন (Municipal Corporation) হিসাবে এর আত্মপ্রকাশ ১৯৯৪ সালে। ২০১৫ সালে (2015) শেষবার ভোট হয়েছিল এই পুর কর্পোরেশনের। এরপর ২০২২ সালে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে চন্দননগর পুরসভা। 

চন্দননগর পুর কর্পোরেশনের এলাকার আয়তন ২২.০৩ কিলোমিটার। ২০১১ সালের গণনা অনুযায়ী এই পুর কর্পোরেশনের অধীনে জনসংখ্যা রয়েছে ২ লক্ষেরও বেশি। এই এলাকায় কর্মসংস্থানের যে হারটা পাওয়া যায় তাতে মোট জনসংখ্যার ৪০ শতাংশ কর্মজীবী। বাকি ৬০ শতাংশ কোনও কাজ করেন না। যত সংখ্যক মানুষ এখানে কর্মজীবী তারমধ্যে আবার ৫০ শতাংশই শিল্পাঞ্চলের কর্মী।

এক নজরে চন্দননগর পুর কর্পোরেশনের ছবি

ওয়ার্ডের সংখ্যা : ৩৩টি

ভোট হচ্ছে ৩২টি ওয়ার্ডে ( ১৭ নং ওয়ার্ডে দুর্ভাগ্যজনকভাবে একজন প্রার্থীর মৃত্যু হয়) 

মোট ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা: ১৭৬টি

১২ তারিখ ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের তিনটি বাদ দিয়ে মোট ভোট কেন্দ্র ১৭৩টি। 

ভোট হবে সকাল সাতটা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত

প্রধান ভোট কেন্দ্র: ১৬৬টি

সহায়ক ভোট কেন্দ্র: ৭টি

মোট পোলিং পার্টির সংখ্যা: ১৭৩টি 

মোট সেক্টরের সংখ্যা: ১২টি (১০টি চন্দননগর থানার অধীনে
এবং ভদ্রেশ্বর থানার অধীনে দুটি)

মোট ভোটদাতা : ১ লক্ষ ৪৪ হাজার ৮৩৯ জন

নিকাশি নর্দমা ব্যবস্থার মানোন্নয়ন থেকে শুরু করে সড়ক ব্যবস্থার পরিকাঠামো উন্নত করা, জল সরবারহ, শৌচাগার ব্যবস্থার উন্নতি, শিক্ষার উন্নতি, স্বাস্থ্য, সমাজকল্যাণ এবং সংস্কৃতিমূলক উন্নয়ন-সহ একাধিক ইস্যুতে এবার ভোট জয় করে নিতে চায় তৃণমূল। এদিকে চন্দননগরে এবং সংলগ্ন এলাকায় নিকাশ ব্যবস্থা নিয়ে সমস্যা ছিল ছিল দীর্ঘদিনের। ভোটের দোরগোড়ায় এই ইস্যুতে সরব হয়েছে বিজেপিও।

উল্লেখ্য, ২০০০ সালের গোড়ায় এই কেন্দ্রে তখন বামেদের আধিপত্য। সাল ২০০৫, চন্দননগরের পৌর কর্পোরেশনের নির্বাচনে সিপিআইএম ২০টি আসন পায়। বাকি ১৩ আসনের ১০টি তৃণমূলের এবং বাকি ৩ অন্যান্যদের দখলে যায়। তবে বামেদের সরকার ভাঙার শেষ সময়ে ২০১০ সালে চন্দননগরের পুরভোটের ৩৩ আসনে বিপুল ভোট পেয়ে ২৩টি অর্থাৎ প্রায় দ্বিগুনেরও বেশি সংখ্যায় ২৩ আসনে দখল করে তৃণমূল। বামেরা সেবার ১টি এবং অন্যান্যরা পায় ২টি আসন। যদিও ২০১৫ সালে সংখ্যা একটু কমে আসে। তবু দড়ি তৃণমূলের হাতেই থাকে। ২০১৫ সালে চন্দননগরের পৌর কর্পোরেশনের নির্বাচনে ২১ আসন জয় করে তৃণমূল। তবে সিপিআইএম ৭ আসন, ফরোয়ার্ড ব্লক ১ আসন, কংগ্রেস ৩ আসন এবং বিজেপি ১ আসন পায়। তবে এবার কার পালে হাওয়া বইবে বেশি তা কেবল জানে চন্দননগরবাসী। 

Share this article
click me!