মালদার কালিয়াচকে একই পরিবারের চার সদস্যের খুনের ঘটনায় গ্রেফতার মহম্মদ আসিফকে জিজ্ঞাসাবাদ করে যেমন একাধিক তথ্য উঠে আসছে, তেমনই বেশ কয়েকটা পয়েন্ট ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের। পুলিশ সূত্রের খবর, মালদহ হত্যাকাণ্ডে ইতিমধ্যেই আসিফ স্বীকার করে জানিয়েছে সে খুন করেছে। নজরে রয়েছে দাদা আরিফও। চলেছে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ। তাঁর বয়ানে মিলেছে অসঙ্গতি।
জানা গিয়েছে, বাড়ির নানা জায়গায় অত্যাধুনিক গ্যাজেট, বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম বসিয়েছিল আসিফ। কিন্তু কেন? এই গ্যাজেটগুলি কেনার জন্য প্রায় কোটি টাকার সম্পত্তি বিক্রি করেছিল সে। তাহলে কি বড় কোনও চক্রের হয়ে কাজ করত আসিফ? পুলিশ তদন্ত করে জানার চেষ্টা করছে আরও সম্পত্তি বিক্রির সুযোগ খুঁজছিল আসিফ। ২০১৪ সালে আসিফের বাড়ির এলাকা থেকেই জঙ্গিযোগের অপরাধে গ্রেফতার হয়েছিল জিয়াউল হক। তাই এই ধৃত আসিফের সঙ্গে জঙ্গি সংগঠনের কোনও যোগ রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আরেকটি তত্ত্বও উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিশ। মালদা থেকেই সপ্তাহ দুয়েক আগে আটক হয়েছে চিনা অনুপ্রবেশকারী হান চুনওয়েই। তার কাছ থেকে মিলেছে ল্যাপটপ, আই ফোন, টাকা ট্রান্সফারের যন্ত্র। তাহলে এই যন্ত্রগুলি নিয়ে কী করতে চানইছিল হান। এই যন্ত্রগুলি কেনার পিছনে আসিফের সম্পত্তি বিক্রি করার কোনও যোগসূত্র রয়েছে ? প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, রবিবার মালদা জেলা আদালত আসিফকে ১২ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, স্কুল পড়ুয়া আসিফের টাকার লোভ ছিল মারাত্মক। জানা গিয়েছে, এই ঘটনার আগে কয়েকবার আচমকাই গায়েব হয়ে গিয়েছে আসিফ। অপহরণের নাটকে তাঁকে সাহায্য করে বন্ধুরাই। আসিফের বাড়ি থেকে কয়েকলক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। খুনের ঘটনায় আটক করা হয়েছে আসিফের দুই বন্ধুকেও। সাবির আলি ও মহঃ মাফুজ । তাঁদের কাছ থেকে উদ্ধার ৫টি সেভেন এম এম পিস্তল, ৮০ রাউন্ড কার্তুজ ও ১০টি ম্যাগাজিন।