লকডাউনে কমেছে পরিবেশ দূষণ, হাজার মাইল দূর থেকে রাজ্যে ভিড় জমাচ্ছে বিশেষ অতিথিরা

  • লকডাউনের জেরে পরিবেশ দূষণ কমেছে
  • পরিযায়ী পাখির সংখ্যা অনেকটাই বৃদ্ধি পাবে
  • আশা করছে রায়গঞ্জ কুলিক পক্ষীনিবাস
  • দাবি পরিযায়ী পাখির সংখ্যা এক লক্ষ ছাড়াবে

Parna Sengupta | Published : Jun 21, 2021 10:34 AM IST

লকডাউনের জেরে পরিবেশ দূষণ কমেছে, তার ওপর রাজ্য বন দপ্তরের উন্নত পরিকাঠামো রয়েছে। এবছর তাই গতবারের তুলনায় পরিযায়ী পাখির সংখ্যা অনেকটাই বৃদ্ধি পাবে। আশা করছে রায়গঞ্জ কুলিক পক্ষীনিবাস কর্তৃপক্ষ। তাঁদের দাবি এবছর পরিযায়ী পাখির সংখ্যা এক লক্ষ ছাড়িয়ে যাবে।রায়গঞ্জ অতিরিক্ত বিভাগীয় বন আধিকারিক জানিয়েছেন, কুলিক পক্ষীনিবাসে  সরকার থেকে পরিযায়ী পাখিদের থাকার উপযুক্ত পরিকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। যার ফলেই দিন দিন পাখির সংখ্যা বাড়ছে।

 এশিয়ার বৃহত্তম পক্ষীনিবাস বলে পরিচিত উত্তর দিনাজপুর জেলা সদর রায়গঞ্জ শহর সংলগ্ন কুলিক পক্ষীনিবাস। রায়গঞ্জ শহরের কুলিক নদীর ধারে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে ৬০০ একর বনাঞ্চল এলাকা নিয়ে গঠিত এই পক্ষীনিবাস। এখানে প্রতি বছর মে মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে জুন মাসের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ভিড় করে পরিযায়ী পাখিরা। 

হাজার হাজার মাইল দূরের শীতপ্রধান দেশ থেকে ছুটে আসে পরিযায়ী পাখিরা। ওপেন বিল স্টক, ইগ্রেট, করমোরেন্ট, নাইট হেরন মূলত এই চার প্রজাতির পরিযায়ী পাখি এই কুলিক পক্ষীনিবাসে এসে সঙ্গী নির্বাচন করে বাসা বাঁধে। প্রজননের মাধ্যমে ডিম ফুটিয়ে শাবকের জন্ম দেয়। শাবকদের উড়তে শেখানো তাদের বড় করে তোলা পর্যন্ত শীত আসার আগেই এরা আবার ফিরে যায় যেখান থেকে তারা আসে। পরিযায়ী পাখিদের কলতানে মুখরিত হয়ে থাকে কুলিক পক্ষীনিবাস। 

তাদের কলাকৌশল ও কলতানে আকৃষ্ট হয়ে বহু পর্যটকের সমাগম হয় রায়গঞ্জের কুলিক পক্ষীনিবাসে। ২০২০ সাল  থেকে করোনার কারনে লকডাউন থাকায় পরিবেশ দূষণ অনেকটাই কম। রাজ্য বন দপ্তরের কুলিক পক্ষীনিবাসকে উপযুক্ত উন্নত পরিকাঠামো গড়ে তোলায় পক্ষীনিবাসে পরিযায়ী পাখির সংখ্যা ক্রমশ বেড়ে চলেছে। বন দপ্তর সূত্রে খবর, গতবছর এই পক্ষীনিবাসে ৯৮৬০০ টি পাখির সংখ্যা ছিল। এবছর তাঁদের আশা কুলিক পক্ষীনিবাসে পরিযায়ী পাখির সংখ্যা একলক্ষ ছাড়িয়ে যাবে। 

Share this article
click me!