'তৃণমূল আশ্রিত মুসলিম দুষ্কৃতীরাই খুন করছে রাজবংশীদের', চোপড়া কাণ্ডে শুরু বিজেপির ভেদাভেদের রাজনীতি

রবিবার ভোর থেকেই এক কিশোরী খুন নিয়ে উত্তপ্ত উত্তর দিনাজপুর

প্রতিবাদে জাতীয় সড়ক অবরোধ করা নিয়ে পুলিশ-জনতা সংঘর্ষ-ও বেধেছিল

ওই ঘটনার প্রতিবাদে পথ অবরোধ করল বিজেপিও

তারা এই ঘটনায় রাজনৈতিক ও সাম্প্রদায়িক রং-ও লাগালো

 

Asianet News Bangla | Published : Jul 19, 2020 12:58 PM IST / Updated: Jul 19 2020, 06:49 PM IST

রায়গঞ্জ, কৌশিক সেন: সদ্য মাধ্যমিক উত্তীর্ণ এক কিশোরীর অস্বাভাবিক মৃত্যুকে ঘিরে রবিবার সকাল থেকেই উত্তপ্ত উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া এলাকা। জনতা-পুলিশ খণ্ডযুদ্ধে প্রায় রণক্ষেত্র হয়ে উঠেছে এলাকার পরিস্থিতি। সেই ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমে পড়ল বিজেপি। এই মর্মান্তিক ঘটনায় সাম্প্রদায়িক রং লাগালো তারা। বিজেপির জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ লাহিড়ীর অভিযোগ, উত্তর দিনাজপুরের রাজবংশী সম্প্রদায়ের মানুষদের এক এক করে হত্য়া করছে তৃণনূল কংগ্রেস আশ্রিত মুসলিম দুষ্কৃতীরা।

এদিনের খুনের ঘটনা ও গত কয়েক বছর ধরে জেলায় হওয়া বেশ কয়েকটি হত্যার ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে রবিবার জেলা বিজেপির পক্ষ থেকে রায়গঞ্জ শহরের শিলিগুড়ি মোড়ে, ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখানো হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে তাদের সেই কর্মসূচিতে বাধা না দেওয়া হলেও বিক্ষোভ কর্মসূচি তাড়াতাড়ি শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। প্রতিবাদ স্থল ঘিরে রেখেছিলেন বহু পুলিশ সদস্যও। তারমধ্যেই বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে জড়ো হয়েছিলেন বিজেপি কর্মীরা। উত্ত দিনাজপুর জেলায় গত কয়েক বছরের রাজবংশী সম্প্রদায়ের যে কটি হত্যার ঘটনা ঘটেছে সবগুলির তদন্তের সুষ্ঠু সমাধান ও দোষীদের শাস্তির দাবি করেন তাঁরা।

এদিন ভোরে চোপড়ার বসলামপুর গ্রামে এক সদ্য মাধ্যমিক পাস করা ছাত্রীর দেহ উদ্ধার করা হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ তাকে ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছে। বিজেপির জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ লাহিড়ীর অভিযোগ, ওই কিশোরীর দাদা বিজেপির বুধ কমিটির সদস্য। আর তাই জন্যেই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ওই কিশোরীকে প্রথমে ধর্ষণ ও পরে হত্যা করা হয়েছে। এখানেই শেষ নয়, তিনি বলেন উত্তরবঙ্গব্যাপী রাজবংশী সম্প্রদায়ের উপর চরম অত্যাচার নেমে আসছে। গত কয়েক বছরে বেশ কয়েকজন রাজবংশী সম্প্রদায়ের মহিলাকে ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। এছাড়া প্রিসাইডিং অফিসার রাজকুমার রায় থেকে সম্প্রতি হেমতাবাদের বিজেপি বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়-কে হত্যা করা হয়েছে। আর তারপর এদিনের কিশোরীর ধর্ষণ ও হত্যা।  

এরপরই তিনি দ্যর্থহীন ভাষায় দাবি করেন, এই ঘটনার পিছনে রয়েছে তৃণমূল আশ্রিত গুণ্ডা মুসলিম। অবিলম্বে তাদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন তিনি।

শনিবার রাতেই ওই কিশোরীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। এদিন ভোরে গ্রামেপ পাশে এক প্রান্তে তার নিথর দেহ পাওয়া যায়। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। মৃতদেহটি ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি সাইকেল, একটি ছাতা ও একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে।

 

Share this article
click me!