দফায় দফায় সংঘর্ষ, বেশ কয়েকটি বাড়িতে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ, বাদ গেল না কিছুই। তৃণমূল কংগ্রেসের দুই গোষ্ঠীর বিবাদে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলা। ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে। এলাকায় বসল পুলিশ পিকেট।
আরও পড়ুন: আমফান যেতেই এবার তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল, সরাসরি প্রাক্তন কাউন্সিলারের সভায় হামলা
এলাকা কার দখলে থাকবে? তা নিয়ে গত কয়েক দিন ধরে তৃণমূল কংগ্রেসের দুটি গোষ্ঠীর বিবাদ চলছিল ভগবানগোলার কানাপুকুর গ্রামে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, দিন কয়েক আগে সংঘর্ষে হালিম শেখ ও সায়বা বিবি নামে দু'জন আহত হন। তাঁদের উদ্ধার করে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় গ্রামীণ হাসপাতালে। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় হালিমকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় কলকাতায়। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। কলকাতার হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীন মারা যান তিনি। আর তাতেই ঘটে বিপত্তি। সোমবার সকালে মৃত্যুসংবাগ আসার পরই পরিস্থিতি রীতিমতো অগ্নগর্ভ হয়ে ওঠে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সকালে মৃত হালিম শেখের গোষ্ঠীর লোকেরা কানাপুকুর গ্রামে এক ব্যক্তি বাড়িতে ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেয়। প্রথমে ভয়ে বাড়ির সকলেই পালিয়ে গিয়েছিলেন। শেষপর্যন্ত তাঁরাও পাল্টা হামলা চালান। দুই পক্ষের সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা। একে এক বাড়িতে চলে ভাঙচুর-অগ্নি সংযোগ। পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে, বিশাল পুলিশবাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে যান খোদ মুর্শিদাবাদের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তন্ময় সরকার ও লালবাগের এসপিডিও বরুণ বৈদ্য। ধীরে ধীরে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
আরও পড়ুন: মুম্বই থেকে ফেরার পথে রহস্যমৃত্যু পরিযায়ী শ্রমিকের, খুনের অভিযোগ পরিবারের
এদিকে দলের সমর্থকরাই যে গোষ্ঠী সংঘর্ষে জড়িয়েছেন, সেকথা স্বীকার করে নিয়েছেন তৃণমূল নেতা ও জেলা পরিষদ সদস্য রাফিন ইয়াসমিন। তাঁর আক্ষেপ, 'আমরা সমস্যা সমাধান করতে পারিনি। তাই এমন অবাঞ্চিত ঘটনা ঘটে গেল। স্থানীয় বাসিন্দারা ও যুবকদের তৎপরতায় বড় কোনও অঘটন ঘটেনি।'