সংক্ষিপ্ত

  • এ রাজ্যের পরিয়াযী শ্রমিকের রহস্যমৃত্যু
  • রাঁচি শহরের রাস্তায় মিলল দেহ
  • মুম্বই থেকে ফিরছিলেন তিনি
  • খুনের অভিযোগ দায়ের পরিবারের

সন্দীপ মজুমদার, হাওড়া: মুম্বই থেকে ফেরার পথে কি খুন হয়ে গেলেন? এ রাজ্যের এক পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যুতে রহস্য দানা বেঁধেছে। ঝাড়খণ্ডের রাঁচি শহরে রাস্তার পাশে তাঁর ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হাওড়ার জগৎবল্লভপুরে। 

আরও পড়ুন:রাস্তায় দেখা গেলো না বেসরকারি বাস, সরকারি বাসে যাত্রীদের থার্মাল পরীক্ষা করা হলো

মৃতের নাম মইদুল শেখ। জগৎবল্লভপুরের পাঁতিহাল পঞ্চায়েতের বাদুবেলিয়া গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। জরির কাজ করতেন মইদুল। পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন,  বাড়তি  রোজগারের আশায় মাস পাঁচেক আগে মুম্বই চলে যান তিনি। কর্মসূত্রে থাকতেন মালাড এলাকায়। ভিনরাজ্যে গিয়ে রোজপাতিও মন্দ হচ্ছিল না। কিন্তু লকডাউন জারি হওয়ার পরই ঘটে বিপত্তি। কাজকর্ম বন্ধ হয়ে যায়। মাস দুয়েক মুম্বই-এ আটকে ছিলেন মইদুল। হাতে সামান্য যেটুকু টাকা ছিল, তাও শেষ হয়ে যায়। বাড়ির ফেরা ছাড়া আর কোনও উপায় ছিল না। 

জানা দিয়েছে, ২২ মে বাসে চড়ে মুম্বই থেকে রওনা দেন মইদুল। তাঁর সঙ্গে ছিলেন পাঁচজন বন্ধুও। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে, ঈদের দিনেই বাড়িও পৌঁছে যেতেন ওই পরিযায়ী শ্রমিক। কিন্তু তা আর হল কই! পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন,  ২৪ মে যখন শেষবার ফোনে কথা হয়, তখন মইদুল জানিয়েছিলেন, বাস নাগপুরের কাছাকাছি রয়েছে। এরপর বেশ কয়েকবার চেষ্টা করেও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। দুঃসংবাদ আসে ২৭ মে। স্থানীয় জগন্নাথপুর থানার পুলিশ বাড়ির লোককে ফোনে জানায়, রাঁচি শহরের রাস্তার পাশে মইদুলের মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে! শুধু তাই নয়, দেহে একাধিক ক্ষতচিহ্নও মিলেছে। হোয়াটসঅ্যাপে দেহের ছবি দেখে মৃতকে শনাক্ত করেন পরিবারের লোকেরা। শনিবার রাতে দেহ আনা হয় জগৎবল্লভপুরের পাঁতিহালে গ্রামের বাড়িতে। 

আরও পড়ুন: কর্তব্যরত অবস্থায় 'কিডনি বিকল', প্রাণ গেল সরকারি হাসপাতালের নার্সের

কীভাবে মারা গেলেন মইদুল শেখ? তা নিয়ে ঘনাচ্ছে রহস্য। হাওড়ার জগৎবল্লভপুর থানায়  খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন পরিবারের লোকেরা। তাঁদের দাবি, মৃতের সঙ্গে যে পাঁচ বন্ধু ফিরছিলেন, তাঁরা এই ঘটনা নিয়ে মুখ খুলতে চাইছেন না।  পরিযায়ী শ্রমিকের রহস্যমৃত্যুতে রাঁচির জগন্নাথপুর থানার পুলিশও খুনের মামলা রুজু করেছে বলে জানা গিয়েছে।