উত্তরবঙ্গ সফরে এবার নজরে আদিবাসী ভোট ব্যাঙ্ক। বুধবার আদিবাসীদের গণবিবাহ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়।এদিন নিজে দাঁড়িয়ে থেকে ৫১০ যুগলের বিয়ে দেবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
উত্তরবঙ্গ সফরে এবার নজরে আদিবাসী ভোট ব্যাঙ্ক। বুধবার আদিবাসীদের গণবিবাহ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। উল্লেখ্য, বিগত বছরেও মালদহের গাজোলে এবং আলিপুরদুয়ারে একই রকম গণবিবাহের অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোটের আগে উত্তরের চা বলয়ে মুখ্যমন্ত্রীর এই উপস্থিতি রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।
রাজ্য সরকার রূপশ্রী প্রকল্পের মাধ্যমে আর্থিকভাবে পিছিয়ে পরা পরিবারের বিবাহযোগ্যা মেয়েদের জন্য সাহায্য করে। সেই প্রকল্পের মাধ্যমেই বুধবার নিজে দাঁড়িয়ে থেকে ৫১০ যুগলের বিয়ে দেবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এখানেই শেষ নয়, এর সঙ্গে আগামী দিনে সংসার করার জন্য আদিবাসী যুগলদের হাতে তুলে দেবেন বাসন, পোশাক, সহ একাধিক জিনিসপত্র। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই জানিয়েছেন, 'আমি আপানার পাশে সব সময় আছি।আর্শীবাদ করি আপনারা ভাল থাকুন। রাজ্য সরকার সব দিক থেকে সাহায্য করবে।'
আরও পড়ুন, 'দ্রুত অপরাধীদের গ্রেফতার করুন', হাসিমারা বনবাংলোয় বসেই ভবানীরপুর খুনে সিপিকে ফোন মমতার
উল্লেখ্য, বিগত বছরেও মালদহের গাজোলে এবং আলিপুরদুয়ারে একই রকম গণবিবাহের অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী খেকে সাহায্য পেয়ে খুশি হয়েছিলেন নব্য বিবাহিতরা। চা বাগানের শ্রমিকদের যারা গণবিবাহে যা হাজির থাকবেন, তাঁরা জানিয়েছিলেন ,'রাজ্য সরকার সাহায্য করায় আমরা খুশি। বিয়ের সঙ্গে সংসার পাতিয়ে দেওয়ার জিনিস দেওয়ায় আমরা খুশি।' রাজনৈতিক মহলের মতে, চা বাগানের একাধিক জায়গায় এভাবে গণবিবাহের আযোজন করতো বিশ্ব হিন্দু পরিষদ।এবার সেই জায়গায় সরকার বিবাহ অনুষ্ঠানের আয়োজন করায় আদিবাসীদের কাছে পৌঁছে যেতে পারবে তৃণমূল কংগ্রেস।
আরও পড়ুন, ৯০ পুলিশ কর্মী, মঞ্চের বাইরে অ্যাম্বুলেন্স, 'হু ইজ কেকে'- বলার পর প্রথম শো রূপঙ্করের
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়েছিলেন মমতা। ১৪ ফেব্রুয়ারি শিলিগুড়ি পুরভোটের ফলপ্রকাশের দিন বিকেলেই এখানে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। একুশের বিধানসভা ভোটের আগেও উত্তরের আদিবাসী ভোট ব্যাঙ্কে ভারসাম্য রাখতেই ডুয়ার্স সফর করেছিলেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। মূলত, হারানো জমি পুনরুদ্ধারেই উত্তরবঙ্গে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেবার যা নিজে মুখে বলেওছিলেন তিনি।মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় সাফ জানিয়েছিলেন, 'লোকসভা ভোটে গো-হারা হেরেছি। আশা করি বিধানসভা ভোটে আমাকে আপনারা পুষিয়ে দেবেন।' প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই একাধিকবার শিরোনামে এসেছে কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার গোষ্ঠী কোন্দলের খবর। উত্তরের জেলাগুলিতে তৃণমূলের গোষ্টীদ্বন্দ্ব এতটাই বেশি যে কয়েক মাসের ব্যবধানে তিনবার জেলা সভাপতি বদল করা হয়েছে আলিপুরদুয়ারে। তবে সাংগঠনিক বদল আনলেও পুরোপুরি মেটানো যায়নি। তবে শেষ অবধি একুশের বিধানসভা ভোটে বিপুল জয় করে তৃতীয়বার সরকারে আসেন মমতা।