- Home
- Entertainment
- Bengali Cinema
- ৯০ পুলিশ কর্মী, মঞ্চের বাইরে অ্যাম্বুলেন্স, 'হু ইজ কেকে'- বলার পর প্রথম শো রূপঙ্করের
৯০ পুলিশ কর্মী, মঞ্চের বাইরে অ্যাম্বুলেন্স, 'হু ইজ কেকে'- বলার পর প্রথম শো রূপঙ্করের
- FB
- TW
- Linkdin
কিংবদন্তি সঙ্গীত শিল্পী কেকের অকাল মৃত্য়ুর পর তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। এদিকে বিতর্কিত কথা বলে লাইভ করে ট্রোলড রূপঙ্কর। আর এহেন পরিস্থিতিতে কেকে-র মৃত্য়ু বিতর্কের মাঝেই ফেসবুক লাইভের পর প্রথম স্টেজ শো করলেন রূপঙ্কর বাগচি।
কেকে বিতর্কের মাঝেই টালার মোহিত মৈত্র মঞ্চে প্রথম স্টেজ শো করলেন রূপঙ্কর বাগচি। পুলিশি নিরাপত্তায় আটোসাটো হয়ে এবার অনুষ্ঠান করলেন। শো শেষে হাত জোড় করে বেরিয়ে যান শিল্পী।
এসি-র নের্তৃত্বে মঞ্চের ভিতরে ও বাইরে ছিল নিরাপত্তায় প্রায় ৯০ জন পুলিশ কর্মী। পাশাপাসি কেকে-র মৃত্যুর পর কলকাতা পুলিশের নির্দেশিকা অনুযায়ী অনুষ্ঠান মঞ্চের বাইরে রাখা ছিল অ্যাম্বুলেন্স। প্রায় ১ ঘন্টা পর মঞ্চ ছাড়ার সময়ও কথা বলতে চাননি রূপঙ্কর।
'হু ইজ কেকে', প্রশ্ন তুলেছিলেন রূপঙ্কর। গত কয়েক দিনে ওই কথাটাই ট্রেন্ড করছে। উত্তর দিয়েছে 'বাঙালি', উত্তর দিয়েছে কলকাতা। সবাই ওই হ্যাস ট্যাগেই, অশ্রাব্য গালাগাল ফেরাচ্ছেন গভীরে যাও-র গায়ককে। 'কেকে-টা কে', রূপঙ্করকে সবাই বুঝিয়ে দিয়েছে বলেই দাবি বাংলার। রোদ্দুর রায় থেকে শুরু করে স্বস্তিকা কেউ যায়নি বাদ।
নিজের শহরেই চরম লজ্জায়-অপমানে বিধ্বস্ত বাগচি পরিবার। খুনের হুমকি পর্যন্ত পেয়েছেন নাকি রূপঙ্কর।তবে গত কয়েকদিনে উঠতে বসতে রাজ্যে সবচেয়ে বেশি বিতর্কের ঝড় রূপঙ্করকে নিয়েই। যাদের নাম ফেসবুকে নিয়েছিলেন, তাঁদের কেউই রূপঙ্করের পাশে দাঁড়ায়নি। যারাই দাঁড়িয়েছে, তাঁদেরকেও ধুয়ে দেওয়া হয়েছে।
তবে এত সবের মাঝে বাবাকে এই অবস্থায় দেখে শিশু মনে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ছে রূপঙ্করের মেয়ের উপরে। বাইরের রাজ্যে শুটিংয়ে গেলে, সাধারণত বাবার ফেরার অপেক্ষায় থাকে সব সন্তানেরাই। এক্ষেত্রেও তার অন্যথা হয়নি। তবে বাবা তো ফিরে এল কলকাতায়।সঙ্গে এল অন্ধকারে ঢাকা একরাশ কালো মেঘ।
কেকে-কে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করার পর ইতিমধ্য়েই প্রেসক্লাবে তিনি দুঃখপ্রকাশ করেছেন। তবে কেকে-র মৃত্যুর ৫ দিন পরেও হুমকি তাড়া করে বেড়াচ্ছে বাগচির পরিবারে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যেই রূপঙ্করের বিরুদ্ধে বয়কটের ডাক দেওয়া হয়েছে। নিজেরই শহরের কাছেই আজ অনেকটাই অসহায় রূপঙ্কর ও তাঁর গোটা পরিবার। এর আগে খুনে হুমকি পেয়েছেন রূপঙ্কর বাগচি। এবার বাগচি পরিবারের বিরুদ্ধে এল ধর্ষণের হুমকি।
গরমের ছুটিতে স্কুল বন্ধ। বাঁচোয়া, যে বন্ধুদের মাঝে যেতে হচ্ছে না। এদিকে সামনে তাঁর পরীক্ষা। এভাবে কী সত্যিই দেখা যায় বাবাকে। এই পরিস্থিতি মেয়েকে নিয়ে চিন্তায় চৈতালি ও রূপঙ্কর। তিনি বলেছেন, আমরা আসলে খুবই চিন্তায় আমাদের মেয়েকে নিয়ে। ওর এবার বোর্ডস পরীক্ষা। আমাদের চিন্তায় দেখে ও খুবই অস্থির।আসলে সবই তো সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখতে পাচ্ছে। বুঝতেই পারছেন, বাবাকে নিয়ে কীরকম অস্থির থাকতে পারে। '
তবে বিতর্কের পর মুখ খুলেছেন রূপঙ্কর। ফিল্মি ফ্রাইডেতে, প্রেসক্লাবে রূপঙ্কর বলেছেন, 'প্রথমেই প্রয়াত কেকে-র পরিবারের কাছে দুঃখ প্রকাশ করছি। আমার যে ভিডিও-তে গত কয়েকদিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়া ও তার বাইরে, এত বিরামহীন উত্তেজনার উপাদান তৈরি হয়েছে, আমি ওইটা ফেসবুক থেকে ডিলিট করেছি। পরলোকগত গায়কের পরিবারের কারো সঙ্গেই আমার পরিচয় নেই। কিন্তু আপনাদের মাধ্যমেই আমি বারবার জানাচ্ছি, আমি দুঃখিত। কেকে আজ যেখানেই থাকুন, ওকে সেখানে ইশ্বর শান্তিতে রাখুন।আমার সঙ্গীত জীবনে এমন বিভীষিকার মুখোমুখী হতে হবে, তা আমি স্বপ্নেও ভাবিনি।'