'অষ্টমী আর নবমীর সন্ধিক্ষণে যার জন্ম হয় তিনি নবরূপে উন্মোচিত হন যুগে যুগে দেশে দেশে কালে' , সারদাদেবীর সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তুলনা করেন এমনটাই বললেন তৃণমূল কংগ্রে নেতা নির্মল মাঝি। এখানেই শেষ নয় তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সারদাদেবীরও তুলনা করেছেন।
'অষ্টমী আর নবমীর সন্ধিক্ষণে যার জন্ম হয় তিনি নবরূপে উন্মোচিত হন যুগে যুগে দেশে দেশে কালে' , সারদাদেবীর সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তুলনা করেন এমনটাই বললেন তৃণমূল কংগ্রে নেতা নির্মল মাঝি। এখানেই শেষ নয় তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সারদাদেবীরও তুলনা করেছেন। আরও বলেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রূপ নিয়ে সারদাদেবীর পুর্নজন্ম গ্রহণ করেছেন কালীঘাটে। তৃণমূল কংগ্রেস নির্মল মাঝির কথায়, ' সারদাদেবী মৃত্যুর আগে বিবেকানন্দের সঙ্গীদের ডেকে বলেছিলেন তিনি কালীঘাটের কালীক্ষেত্রে জন্মগ্রহণ করবেন আর সেই সময় তিনি সমাজসেবা, দানধ্যানের পাশাপাশি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডেও জডিয়ে পড়বেন।' নির্মল মাঝির কথায় তাঁর মৃত্যুর পর ঠিক কতদিন পর সারদাদেবী মানুষের রূপ নিয়ে মর্তে আসবেন তাও নাকি বলে গিয়েছিলেন।
যাইহোক তৃণমূল কংগ্রেসের ডাক্তার বিধায়ক দিন-ক্ষণ-তিথি-নক্ষত্র সবকিছু গণনা করে জানিয়েছেন সারদাদেবী নাকি মমতার রূপে আবার পৃথিবীতে এসেছেন। অর্থাৎ আবির্ভাব হয়েছে। নির্মল মাঝি শুধুমাত্র সারদাদেবীর সঙ্গেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তুলনা করে ক্ষান্ত হননি। তিনি একই সঙ্গে সিস্টার নিবেদিতা, ফ্লোরেন্স নাইঅ্যাঙ্গেলের সঙ্গেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তুলনা করেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম অষ্টমীর দিন। সেই কথাও উল্লেখ করে নির্মল মাঝি জানিয়েছেন যাঁদের অষ্টমী আর নবমীর সন্ধিক্ষণে জন্ম হয় তাঁরা নবরূপে উন্মোচিত হন। তবে তিনি একই সঙ্গে সঙ্গে বলেছেন ঘরে ঘরে তিনি দূর্গাও। এই বিষয়ে এর থেকে আর বেশি কোনও কথা বললেন তিনি।
নির্মল মাঝি আরও বলেছেন সারদাদেবী সেইসময় বলরাম বসু ঘাটে স্নান করতে যেতেন। সেই সময় তিনি নাকি ৭১ নম্বর হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটেও যেতেন। রবিবার বাঁকুড়ায় প্রোগ্রেসিভ ফার্মাসিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের জেলা সম্মেলনে বক্তব্য রাখছিলেন উলুবেড়িয়া উত্তরের বিধায়ক নির্মল মাঝি। তখনই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সারদাদেবী, নিবেদিতা আর দুর্গার তুলনা করেন তিনি। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক মহলে তৈরি হয়েছে নতুন বিতর্ক।
এটাই প্রথম নয় এর আগেও একাধিক নির্মল বিতর্ক তৈরি হয়েছে তাঁকে নিয়ে। এসএসকেএম-এ কুকুরের ডায়ালিসস থেকে শুরু করে পরীক্ষাকেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়ার মত একাধিক পদক্ষেপ তিনি নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎকদের ওপর জোরখাটানোর অভিযোগও উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। রোগী কল্যান সমিতির চেয়ারম্যানের পদও চলে গেছে তাঁর। কিন্তু তারপরেও কেন তিনি এজাতীয় মন্তব্য করে নতুন করে বিতর্ক তৈরি করলেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।