সংক্ষিপ্ত
স্থানীয় কোনও হাসপাতাল বা নার্সিংহোমে যদি স্বাস্থ্যসাথী কার্ড না নেয় তাহলে পুলিশের কাছে গিয়ে রিপোর্ট করতে হবে। জেলা শাসক ও স্থানীয় প্রশাসনককে গোটা বিষয়টি কড়া হাতে দেখতে হবে বলে স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।
ধান বিক্রি থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড - রাজ্য সরকারের একাধিক প্রকল্প নিয়ে রীতিমত চড়া সুরেই হুঁশিয়ারি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কোনও কৃষক যদি মাণ্ডিতে এসে ধান বিক্রি করতে না পারে তাহলে অবস্যই এফআইআর করতে হবে। একই সঙ্গে তিনি বলেন স্থানীয় কোনও হাসপাতাল বা নার্সিংহোমে যদি স্বাস্থ্যসাথী কার্ড না নেয় তাহলে পুলিশের কাছে গিয়ে রিপোর্ট করতে হবে। জেলা শাসক ও স্থানীয় প্রশাসনককে গোটা বিষয়টি কড়া হাতে দেখতে হবে বলে স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। এদিন বর্ধমানে কৃষকবন্ধু অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে ভোক্তদের সহায়তা প্রদান করেন তিনি। এদিন রাজ্যের ৭৯ লক্ষ কৃষকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে মোট ২ হাজার ৩৮৫ কোটি টাকা সাহায্য প্রদান করেন তিনি। বর্ধমানের অনষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'এখানে বোতাম টিপলাম আর রাজ্যের কৃষকবন্ধুদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১০ টাকা করে আর্থক সাহায্য পৌঁছে গেল।'
এই অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন তাঁর সরকার কৃষকদের উন্নয়নের জন্য একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে। কিন্তু বর্তমানে মাণ্ডিতে ধানের কেনা-বেচা নিয়ে একাধিক অভিযোগ উঠেছে। সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার এই রাজ্য থেকে ধান কেনে না। কিন্তু কৃষকদের সুবিধের জন্য রাজ্য সরকার ধান কেনে। কিন্তু মাণ্ডিতে এসে যদি কোনও বিক্রি না করতে পারে খালি হাতে ফিরে যান তাগলে অবশ্যই থানায় গিয়ে এফআইআর করুন। কার্যত স্থানীয় প্রশাসনের উদ্দেশ্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন কৃষকদের যাতে ধান ফিরিয়ে নিয়ে না যেতে হয় তা নিশ্চিত করতে হবে। এই দায়িত্ব সকলকে নিতে হবে। তিনি আরও সুর চড়িয়ে বলেন, যে দায়িত্ব নেবে না তাঁক ক্ষমতায় থাকার কোনও অধিকার নেই। তিনি বলেন বাঁকুড়ায় এমন ঘনটা ঘটেছে। আর তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হয়েছে। মমতা বর্ধমানের অনুষ্ঠানে বলেন 'কৃষকরাই আমাদের সম্পদ। তারা আমাদের খাইয়ে পরিয়ে রাখে। তাই তাদের যত্ন নিতে হবে।'এই রাজ্যে তৃণমূল ক্ষমতা দখলের পর ১১ বছর ৫৭ লক্ষ টন খাদ্যশস্য উৎপাদন বেড়েছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় এদিন সিঙ্গুরের কথাও উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, সিঙ্গুরে কৃষক বিরোধী কাজ হওয়ার তিনি অ্যাকশন নিয়েছিলেন। টানা ২৬ দিন কৃষকদের জন্য তাদের পাশে থেকে অনশন করেছেন। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষি বিল নিয়েও তিনি উষ্মা প্রকাশ করেন। বলেন যখন কৃষি বিল নিয়ে কৃষকরা আন্দোলন করছিল তখন তিনি প্রথম তাঁদের সমর্থন জানিয়েছিলেন।
এদিন মমতা রাজ্যের একাধিক উন্নয়ন মূলক প্রকল্পের কথা তুলে ধরেন। বলেন তাঁর সরকার, কন্যাশ্রী, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কৃষকবন্ধু প্রকল্পের মত একাধিক প্রকল্প চালু করেছে শুধুমাত্র রাজ্যের মানুষের উন্নয়নের জন্য। সেই প্রসঙ্গেই তিনি স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের সুবিধে থেকে অনেক ভোক্তা বঞ্চিত হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন। তিনি বলেন এই কার্ড যদি কোনও বেসরকারি হাসপাতাল বা নার্সিংহোম না নেয় তাহলে থানায় গিয়ে অভিযোগ জানাতে হবে। রাজ্যের স্থানীয় প্রশাসনকেও বিষয়টি দেখার নির্দেশ দিয়েছেন মমতা।