'মোদী আরএসএস-র অ্যাজেন্ডা মেনে চলেন বলেই প্রধানমন্ত্রী পদে আছেন, না হলে ওঁকেও সরে যেতে হত',বিজেপি- আরএসএস যোগ নিয়ে বাংলা ভাগ করার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী।
আরও পড়ুন,সবটাই BJP-তৃণমূলের খেলা', 'রাজ্যপাল' ও 'চীনা আগ্রাসন' ইস্যুতে অধীরের নিশানায় মোদী-মমতা
শুক্রবার বহরমপুরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুরুতেই অধীর চৌধুরীর অভিযোগ করে বলেন, 'আরএসএস-এর নীতি মেনেই পরিকল্পিতভাবে বিজেপি-র নেতারা বাংলা ভাগ করার দাবি তুলছেন।।পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতা দখল করতে না পেরে রাজ্যকে আলাদা করার ষড়যন্ত্র করছে বিজেপি। এক্ষেত্রে অধীরের আশঙ্কা, বাংলা ভাগ করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার সংবিধানের ৩ নম্বর অনুচ্ছেদ প্রয়োগ করতে পারে। বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ পৃথক জঙ্গলমহল রাজ্য গঠনের পক্ষে সওয়াল করেন। পাশাপাশি আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ জন বার্লা আলাদা উত্তরবঙ্গ রাজ্য গঠনের দাবি করে আসছে।
আরও পড়ুন, কোভিড বধে আসছেন মা, দুর্গা প্রতিমার বায়না সারলো সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার
এই মন্তব্য সামনে আসতেই ঐ দুই সাংসদের এই মন্তব্যের জেরে কংগ্রেস সভাপতি বলেন, 'পুরো বিষয়টা একটা পরিকল্পিত প্রচার, এটা আরএসএস-এর অ্যাজেন্ডা। উত্তরবঙ্গকে আলাদা করো, দক্ষিণবঙ্গকে আলাদা করো, উত্তরপ্রদেশকে তিনভাগে ভাগ করো, এসব আরএসএস-এর পরিকল্পনা। ওরা যে এসব বলছে তা হঠাৎ করে বলছে তা নয়, এটা ওদের সার্বিক পরিকল্পনার অঙ্গ"।প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে খোঁচা দিয়ে অধীর এদিন সংবাদমাধ্যমের সামনে বলেন,'বিজেপি ভয় পাচ্ছে। কারণ, তারা বুঝে গেছে ২০২৪ সালে মোদীর ম্যাজিক আর কাজ করবে না। তাই ছলে, বলে ও কৌশলে নির্বাচন কী ভাবে জেতা যায়, তার পরিকল্পনা করছে।
আরও পড়ুন, 'গঙ্গায় দেহ ফেলে কোভিড রেকর্ড মুছে দেয় ওরা', BJPকে নিশানা মমতার
উত্তরবঙ্গ আলাদা রাজ্য দাবি করা হচ্ছে। এটা ওদের সর্বস্তরের নেতাদের অনুমোদন নিয়েই বলা হচ্ছে। আরও এক কদম এগিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বলেন, 'নরেন্দ্র মোদী আরএসএস-র অ্যাজেন্ডা মেনে চলেন বলেই প্রধানমন্ত্রী পদে আছেন। না হলে ওঁকেও সরে যেতে হত"।অধীরের দাবি, 'যেহেতু বিজেপি এ রাজ্যে ক্ষমতায় আসতে পারেনি, তাই এ সব বলে বাংলার রাজনৈতিক বাতাবরণকে খারাপ করার চেষ্টা করছে। বাংলার মানুষকে এটা বুঝতে হবে। রাজ্য জুড়ে প্রচার চালাতে হবে। সংবিধানের ৩ নম্বর অনুচ্ছেদ প্রয়োগ করে কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্য বিভাজন করতেই পারে। এই অধিকার তাদের আছে।'