সংক্ষিপ্ত

  • বর্ষা পেরোলেই উঁকি দেবে কাশ ফুল 
  • ঢাকি রোজগারের আশায় দীর্ঘ অপেক্ষায় 
  •  উমা মায়ের আসার সময় হয়ে গিয়েছে 
  •   মা দুর্গার বায়না করল সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার 
     


 একুশের দুর্গা পুজো উপলক্ষে প্রতিমার বায়না সারলো সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি। বর্ষা পেরোলেই উঁকি দেবে কাশ ফুল। তাই আর দেরি না করে  কুমোরটুলির মিন্টু পালের স্টুডিওতে পাড়ি দিলেন সদলবলে সজল ঘোষ এবং  দুর্গোৎসব কমিটি।

 

 

আরও পড়ুন, 'ভ্যাকসিন নিয়ে সিন্ডিকেট চলছে-জড়িত সবাই', কসবাকাণ্ডে তৃণমূলকে নিশানা দিলীপের 

 

 

সজল ঘোষ জানিয়েছেন, এবছর কি হচ্ছে, বলাটা খুব কঠিন।  কোভিডের তৃতীয় তরঙ্গ আসতে পারে, তাই দর্শক শূন্য না পূর্ণ হবে , জানি না। তবে হ্যা এটাই চাইব, আমাদের আনন্দের জন্য যেনও কারও নিরানন্দ না হয়। এরই সঙ্গে তিনি জানালেন, ইতিমধ্য়েই বৃহস্পতিবার দুপুরে কুমোরটুলির মিন্টু পালের স্টুডিওতে গিয়ে একুশের দুর্গা পুজো উপলক্ষে প্রতিমার বায়না সেরে এসেছে  সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি। তবে তার পাশাপাশি তিনি আরও জানিয়েছেন, 'শুধু আতঙ্ক নয়, জীবনে বাঁচতে গেলে কিছু আনন্দেরও প্রয়োজন আছে, আমার মনে হয় আজকের এই বার্তা আপামর বাংলার মানুষের জীবনে একটা ছোট্ট খুশির দমকা হাওয়া নিয়ে আসবে।করোনার বিরুদ্ধে লড়াইতে গত বছর আমরা অগ্রণী ভূমিকায় ছিলাম এ বছরও আমাদের লড়াই চলতে থাকবে।' 

 

 

 

আরও পড়ুন, 'ভোট পরবর্তী হিংসায় ঘর ছেড়েছে BJP কর্মীরা', দার্জিলিংয়ে রাজ্য়পালের সাক্ষাত জন বার্লার 

শিল্পী মিন্টু পাল জানিয়েছেন,  কোভিড পরিস্থিতিতে কুমোরটুলি ৯০ ভাগ কাজ বন্ধ। তবে বৃহস্পতিবার দুর্গা প্রতিমার বায়না সেরে এসেছে  সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি। এবছরও মায়ের মৃন্ময়ী মুখই হবে। ২০২০ সালের দুর্গাপুজোয় লেবুতলার থিম ছিল সাবেকি পাঁচ চাল চিত্র। প্রতিমা ধরে উচ্চতা হয়েছিল ১৬ ফুট' কোভিড পরিস্থিতিতে  স্মৃতি আওড়ে স্বস্তি পেলেন শিল্পী। প্রসঙ্গত, কোভিড পরিস্থিতির মাঝেই আবার দেখতে দেখতে বছর ঘুরে উমা মায়ের আসার সময় হয়ে গিয়েছে।  শুভ বলতে এটুকুই, রাজ্যে আগের থেকে সংক্রমণ কিছুটা হলেও কমেছে। বর্ষা পেরোলেই উঁকি দেবে কাশ ফুল। ঢাকি দুটো রোজগারের আশায় দীর্ঘ অপেক্ষায়। তবে সব কিছুর উপরেই খলনায়ক কোভিড। মাথা চাড়া দিচ্ছে ডেল্টা আতঙ্কও। আগের বছর পুজো প্যান্ডেলে প্রবেশ ছিল নিষিদ্ধ। এবারও পরিস্থিতি একই পথে। তবে এত মৃত্যু মিছিলের পরে রোজগার হারিয়েও দুর্গা দর্শন সবাই করতে চায়। প্রণাম করে মন কামনা জানাতে সবাই যে উমা মায়ের অপেক্ষায়।