আবার ধাক্কা? দলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে জল্পনা বাড়ালেন শঙ্কর ঘোষ

Published : Apr 18, 2022, 10:10 PM IST
আবার ধাক্কা? দলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে জল্পনা বাড়ালেন শঙ্কর ঘোষ

সংক্ষিপ্ত

সোমবার সকালে শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ দলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ত্যাগ করেন। তা নিয়ে আবার নতুন করে জল্পনা তৈরি হয়েছে। তাহলে কি এবার তিনিও দলত্যাগীদের তালিকায় নাম লেখাতে চলেছেন?

কয়েক মাস বন্ধ ছিল। কিন্তু, আবারও হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ত্যাগের নজির দেখা গেল বিজেপিতে। একটা করে নির্বাচন হয় আর সেখানে ভরাডুবি হয় গেরুয়া শিবিরের। ঠিক তারপরই এই ধরনের বিদ্রোহ সামনে আসে। এবারও রাজ্যের দুটি উপনির্বাচনে ভালো ফল করতে পারেনি বিজেপি। ভরাডুবির পরই ফের অসন্তোষ দেখা দিয়েছে দলের অন্দরে। একের পর এক অসন্তোষ প্রকাশ্যে আসছে। আর তার মধ্যেই এবার দলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়লেন বিজেপির শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। বিধায়ক হওয়ার পাশাপাশি দলের সংগঠনের দায়িত্ব সামলাতেন তিনি। 

একের পর এক ধাক্কা গেরুয়া শিবিরে। রবিবারই দলের পদ ছাড়েন মুর্শিদাবাদ ও বহরমপুরের বিধায়ক-সহ অন্তত ১২ জন। আর সেই ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই সোমবার সকালে শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ দলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ত্যাগ করেন। তা নিয়ে আবার নতুন করে জল্পনা তৈরি হয়েছে। তাহলে কি এবার তিনিও দলত্যাগীদের তালিকায় নাম লেখাতে চলেছেন? এমন প্রশ্নই উঠতে শুরু করে। যদিও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই এই জল্পনায় জল ঢেলে দেন তিনি। 

শংকর ঘোষ জানান, "এটা কোনও খবর না কি? আমাদের দলে রোজ ওরকম কত গ্রপ তৈরি হয়। যার জন্য অনেক সময় দরকারি তথ্য চোখে পড়ে না। যে গ্রুপ ছেড়েছি সেটি গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে প্রাক্তন রাজ্য সভাপতির জমানায় ভোট পরিচালনার জন্য তৈরি করা। ভোট মিটে গিয়েছে। সেই গ্রুপে আর কোনও কথাবার্তাও হয় না। এরকম ইনঅ্যাক্টিভ গ্রুপ ছাড়ার মধ্যে বিতর্কের কী আছে?"

তিনি আরও বলেন, "অবাঞ্ছিত গ্রুপে থাকার ফলে সমস্যা হচ্ছে। আমাদের বহু গ্রুপ তৈরি করে দেওয়া হয়। কর্মসূত্রে কিছু গ্রুপে যুক্ত হতে হয়। তবে এমন কিছু অবাঞ্ছিত গ্রুপে থাকার ফলে মূল খবর বা ইনফরমেশন চোখের আড়াল হয়ে যায়। কাজেই সেই গ্রুপ থেকে লেফট হওয়াই ভাল। তবে বাকি গ্রুপে আমি রয়েছি।"‌

উপনির্বাচনে একেবারেই ভালো ফল করতে পারেনি বিজেপি। জেতা আসন আসানসোলেও তৃণমূলের কাছে হেরে গিয়েছে তারা। বালিগঞ্জে বিজেপির থেকে বেশি ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে বামেরা। এরপরই মুর্শিদাবাদের বিধায়ক থেকে শুরু করে সংগঠনের কর্মীরা পদ ছাড়তে শুরু করেছেন। রায়গঞ্জে কর্মী–সমর্থকরা বিজেপি ছেড়ে বিপুল পরিমাণে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। তার মাঝেই আবার দলের গ্রুপ ত্যাগ করে জল্পনা আরও বাড়িয়ে দিলেন শঙ্কর ঘোষ। আর উপনির্বাচনের এই ফলের জন্য দলের শীর্ষ নেতৃত্বকেই দায়ি করেছেন সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। 

PREV
click me!

Recommended Stories

অবশেষে বাবরি মসজিদের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন হুমায়ুনের, কী প্রতিক্রিয়া কার্তিক মহারাজের?
West Bengal SIR News: মৃত ব্যক্তির নথি চুরি করে ভোটার! এই বাংলাদেশির স্বীকারোক্তি শুনে চমকে যাবেন