বাদুড়িয়া কিশোরী ধর্ষণকাণ্ডে পুলিশের জালে তৃতীয় অভিযুক্ত। বাংলাদেশে পালাতে গিয়েও শেষ রক্ষা হয়নি। কামরুল আলম নামে ওই ব্যাক্তিকে বসিরহাট মহাকুমা আদালতে তুলে ৭ দিনের হেফাজতের আর্জি জানিয়েছে পুলিশ।
বাদুড়িয়া কিশোরী ধর্ষণকাণ্ডে পুলিশের জালে তৃতীয় অভিযুক্ত। বাংলাদেশে পালাতে গিয়েও শেষ রক্ষা হয়নি। কামরুল আলম নামে ওই ব্যাক্তিকে বসিরহাট মহাকুমা আদালতে তুলে ৭ দিনের হেফাজতের আর্জি জানিয়েছে পুলিশ। বাংলাদেশে যাওয়ার সময়, সীমান্তবর্তী কাটিয়াহাট থেকে কামরুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সোমবার ওই ঘটনার পর ২ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশের কাছে এতদিন অধরা ছিল কামরুল।
পুলিশ সূত্রে খবর, নির্যাতিতা কিশোরি নবম শ্রেণির ছাত্রী।সম্প্রতি তার পরিবারের পক্ষ থেকে তার সঙ্গে এক যুবকের বিয়ে ঠিক করা হয়। কিশোরির বয়স আঠারো বছর পেরিয়ে গেলে তাঁদের বিয়ে দেওয়া হবে। বাগদত্তা হওয়ার দুজনের মধ্যে মেলামেশা ছিল। গত সোমবার তাঁরা মছলন্দপুরে বেড়াতে গিয়েছিল। সেখান থেকে ফিরতে ফিরতে রাত আটটা বেজে যায়। অভিযোগ তাঁরা তখন একটা নির্জন রাস্তা দিয়ে বাড়ি ফিরছিল। সেই সময়ই তাঁদের পথ আটকায় কয়েকজন। যুবককে মারধর করে এবং ওই কিশোরীকে ছিনিয়ে মাঠের মধ্য়ে চলে যায়। সেখানে ওই কিশোরিকে খুনেরহুমকি দিয়ে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। এদিকে বাইশ সালে পা দিয়েই একের পর এক ধর্ষণের ঘটনা ঘটে চলেছে। কোথাও ধর্ষণ করে খুন, কোথাও ধর্ষণ করে মৃতদেহ দাহও করে দেওয়া হচ্ছে। মালদহ, মাটিয়া, হাঁসখালি, ময়নাগুড়ি, শান্তিনিকেতন গণধর্ষণ কাণ্ডের পর এমনিতেই উত্তাল রাজ্য। পশ্চিমবঙ্গের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বাম-বিজেপির শীর্ষ নের্তৃত্ব। তবে সবচেয়ে নৃশংশ ঘটনাটি ঘটেছে হাঁসখালিতে বলে দাবি রাজ্যবাসীর।
আরও পড়ুন, স্বামী শ্রীঘরে, বাড়ি ভাড়া নিয়ে পরপুরুষের সঙ্গে লিভ ইনে নৃত্যশিল্পী, দিতে হল বড় মাশুল
আরও পড়ুন, 'আমাকে বলেছিল, ধর ওকে রেপ করব', হাঁসখালিকাণ্ডে সিবিআই-র কাছে এল ভয়াবহ তথ্য
প্রসঙ্গত, পুলিশ সূত্রে খবর, ৪ এপ্রিল রাতে জন্মদিনের পার্টিতে ডাকা হয়েছিল ওই নাবালিকাকে। এরপর জন্মদিনে ডেকে তাকে মদ্যপান করায় ব্রজগোপাল। এরপরেই সে এবং তার বন্ধুরা মিলে গণধর্ষণ করে। যৌন নির্যাতন এতটাই হয়েছিল যে, নির্যাতিতার গোপনাঙ্গ থেকে ব্যাপক রক্তপাত ঘটে। রক্তে ভিজে যায় অন্তর্বাস। রাতে এক মহিলাকে দিয়ে নাবালিকা প্রেমিকাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয় সে। অভিযোগ এরপরেই অসুস্থ হয়ে পড়তে শুরু করে ওই নাবালিকা। এদিকে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে বাধা দেয় ব্রজগোপাল। এরপরেই অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণে মৃত্যু হয় ওই নাবালিকার।এদিকে নৃশংসঘটনা এখানেই শেষ হয়নি। অপরাধ ঢাকতে দেহ সৎকারে বাধ্য করে বজ্রগোপাল। তাই মাঝে কয়েকদিন কেউ কিছু জানতে পারেনি। তবে সত্য কখনও চাপা থাকে না। ঘটনার পরেই শনিবার হাঁসখালি থানায় নাবালিকার পরিবারের তরফে অভিযোগে জানানো হয়। মেয়ের মৃত্যুর পরে জোর করে দাহ করে দেওয়া হয়েছে বলে ভয়াবহ অভিযোগ ওঠে। আর তাতে জড়িত ছিল ব্রজগোপাল এবং তার দলবল। এরপরেই তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যের ছেলে ব্রজগোপালকে গ্রেফতারের দাবি ওঠে। তাঁকে গ্রেফতার করে হাঁসখালি থানার পুলিশ। তবে ইতিমধ্য়েই এই ঘটনায় হাইকোর্টের নির্দেশে পেয়ে তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই।