বিজেপি শাসিত রাজ্যে করোনার সংক্রমণ কম, বাড়ছে বিরোধী রাজ্যে, পুরভোট পিছনো নিয়ে দাবি দিলীপের

করোনা পরিস্থিতির মধ্যে রাজ্যের বকেয়া পুরভোট করানো নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, "এখানে তৃণমূল সব বন্ধ রাখলেও ভোট বন্ধ করছে না। কিন্তু কেন? ক্ষমতা তাদের হাতেই। তবুও এই ফাঁকে ভোট করতে চাইছে। পুরভোটের প্রচার করা যাচ্ছে না। প্রচারে বাড়িতে গেলে দরজা খুলছে না। অনেকে প্রচারে অংশ নিচ্ছে না। কাকে নিয়ে ভোট হবে।"

Web Desk - ANB | Published : Jan 8, 2022 5:26 PM IST / Updated: Jan 08 2022, 11:08 PM IST

রাজ্যে হু হু করে বাড়ছে করোনার (Corona) সংক্রমণ। দৈনিক সংক্রমণ (Daily Corona Cases) ১৯ হাজার ছুঁইছুঁই। এই পরিস্থিতির মধ্যে পুরভোট (Municipal Election) করার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে রাজ্য বিজেপি (Bengal BJP)। ভোটের ফলে সংক্রমণ আরও বাড়ার আশঙ্কা করছে বিজেপি নেতৃত্ব। আর সেই কারণেই তাদের মতে পিছিয়ে দেওয়া হোক পুরভোট। এদিকে এতদিন পুরভোট নিয়ে নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) কোর্টেই বল ঠেলে দিয়েছিল তৃণমূল (TMC)। কিন্তু, আজ একেবারে অন্য সুর শোনা গেল তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) গলায়। করোনা পরিস্থিতির (Corona Situation) মধ্যে ভোট পিছিয়ে দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেছেন তিনি। যদিও পুরভোট নিয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। 

করোনা পরিস্থিতির মধ্যে রাজ্যের বকেয়া পুরভোট করানো নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, "এখানে তৃণমূল সব বন্ধ রাখলেও ভোট বন্ধ করছে না। কিন্তু কেন? ক্ষমতা তাদের হাতেই। তবুও এই ফাঁকে ভোট করতে চাইছে। পুরভোটের প্রচার করা যাচ্ছে না। প্রচারে বাড়িতে গেলে দরজা খুলছে না। অনেকে প্রচারে অংশ নিচ্ছে না। কাকে নিয়ে ভোট হবে। তৃণমূলকে ক্ষমতা পেতে হবে তাই এই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে ভোট করানো হচ্ছে। পুরসভার ভোট তো তিন বছর বাকি পড়ে রয়েছে। আর একমাস পিছোলে কি অসুবিধা হত?"

আরও পড়ুন- '২ মাসের জন্য সব বন্ধ রাখা হোক', পুরভোট নিয়ে অভিষেকের 'ব্যক্তিগত মত' প্রকাশে তোপ বিরোধীদের

এদিকে দিলীপ ঘোষের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে তৃণমূল নেতৃত্ব দাবি করেছে, কেন বিধানসভা ভোটমুখী পাঁচ রাজ্যের নির্বাচন পিছনোর জন্য উচ্চবাচ্য করছে না বিজেপি। তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়ের অভিযোগ, "ভোটে হারের কথা ভেবেই তা পিছিয়ে দিতে চাইছে বিজেপি।" আর এনিয়ে এক আজব যুক্তি খাঁড়া করেছেন দিলীপ। তিনি বলেন, "বিজেপি শাসিত রাজ্যে করোনা বিশেষ নেই। বিরোধী রাজ্যে করোনা বাড়ছে। তাই ভোট পিছতে চাইছি। পশ্চিমবঙ্গ, মহারাষ্ট্র, দিল্লিতে করোনা বাড়ছে। উত্তরপ্রদেশে করোনা কম। এক দলকে খুশি করতে ভোট কেন? যতগুলি রাজ্যে করোনা বাড়ছে সবকটা বিরোধী দল শাসিত রাজ্য। সেখানে করোনা নিয়ে হইচই হচ্ছে, স্বাভাবিক ভাবে হোক, চক্রান্ত করে হোক। বিজেপি শাসিত রাজ্যে এটা পারা যাচ্ছে না। বিজেপির মুখ্যমন্ত্রীরা করোনাকে জব্দ করেছেন। করোনার সংক্রমণকে আটকেছেন।"

ঠিক কী বলেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়? 
"২ মাসের জন্য সব বন্ধ রাখা হোক", দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবারে বৈঠকে শেষেই 'ব্যক্তিগত মত' প্রকাশ করেন অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়। মূলত গত কয়েকদিনে আচমকাই কোভিড সংক্রমণ লাগামছাড়া বৃদ্ধি পেয়েছে। এদিকে ২২ জানুয়ারি ৪ জেলায় পুরসভা নির্বাচন (Municipal Election)। আর এই প্রসঙ্গেই এদিন অভিষেক বলেন, "আমার ব্যক্তিগত মত, আগামী দুই মাস বন্ধ রাখা হোক। নির্বাচন পরেও করা যাবে। মানুষ বাঁচলে, আমরা বাঁচব"। 

অভিষেকের এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে দিলীপ ঘোষ বলেন, "আমরাও চাই বন্ধ থাকুক। অভিষেক না চাইলে তৃণমূল চায় কী করে। তিনি (অভিষেক) লোককে খুশি করতে বলছেন। উনি কখন পার্টির লোক, কখন ঘরের বুঝি না! মুখ্যমন্ত্রী কখন দলের আর কখন রাজ্যের বোঝা যায় না।" 

Read more Articles on
Share this article
click me!