সংক্ষিপ্ত

'২ মাসের জন্য সব বন্ধ রাখা হোক', দক্ষিণ ২৪ পরগণার ডায়মণ্ডহারবারে বৈঠকে শেষেই পুরভোট সহ একাধিক ইস্যুতে 'ব্যক্তিগত মত' প্রকাশ করেন  অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়।  

'২ মাসের জন্য সব বন্ধ রাখা হোক', দক্ষিণ ২৪ পরগণার ডায়মণ্ডহারবারে বৈঠকে শেষেই 'ব্যক্তিগত মত' প্রকাশ করেন  অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়। মূলত গত কয়েকদিনে আচমকাই কোভিড সংক্রমণ লাগামছাড়া বৃদ্ধি পেয়েছে। এদিকে ২২ জানুয়ারি ৪ জেলায় পুরসভা নির্বাচন (Municipal Election)। আর এই প্রসঙ্গেই এদিন অভিষেক বলেন, আমার ব্যক্তিগত মত, আগামী দুই মাস বন্ধ রাখা হোক। নির্বাচন পরেও করা যাবে। মানুষ বাঁচলে, আমরা বাঁচব', বলেন তৃণমূলের যুবরাজ (TMC Leader Abhishek Banerjee)। 

এদিন দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলা তথা সংসদীয় কেন্দ্র ডায়মন্ডহারবারের করোনা প্রস্তুতি নিয়ে জরুরী বৈঠকে বসেছিলেন অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়। বৈঠকে অভিষেক ছাড়াও এদিন উপস্থিত ছিলেন, ডায়মণ্ডহারবার লোকসভা কেন্দ্রের সাত বিধায়ক, জেলা শাসক সহ একধিক আধিকারিক। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কলকাতা পুরসভার মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক।   ডায়মন্ডহারবারের ওই বৈঠক শেষ হলেই অভিষেক জানিয়েছেন, তাঁর কেন্দ্রের এলাকার জন্য কিছু পদক্ষেপ নিয়েছেন তিনি। ২৮ ফেব্রুয়ারি অবধি যাবতীয় রাজনৈতিক এবং ধর্মীয় সমাবেশ বন্ধ রাখা হবে বলে ঘোষণা করেছেন তিনি। উল্লেখ্য, শুক্রবারের স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী এই মুহূর্তে রাজ্যে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৮ হাজার ২১৩ জন।এই সংখ্যার সংখ্যা গরিষ্ঠ আক্রান্ত হয়েছে দক্ষিণবঙ্গে ৩ জেলা মূলত উত্তর ২৪ পরগণা, হুগলি জেলা এবং পশ্চিম বর্ধমান জেলায়। তুলনায় কম দার্জিলিং -জলপাইগুড়িতে। এদিকে এই জেলাগুলিতেই ২২ জানুয়ারি শিলিগুড়ি, চন্দননগর, আসানসোল এবং বিধাননগরে পৌর নির্বাচন। আর এখানেই উদ্বেগ বেড়েছে। শাসকদলের তরফে কিংবা রাজ্য কমিশনের তরফে এতদিন এনিয়ে অন্যমত প্রকাশ না করলেও এই প্রথম তৃণমূলের তরফে অভিষেক ব্যক্তিগত মত প্রকাশ করলেন।

তবে এই ঘোষণা শুনে বেজায় চটেছে বিজেপির শীর্ষ নের্তৃত্ব। বিজেপি নেতা শমিক ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, এই কথা আগে বললে কি হতো না। এত দেরি করে কেন উনি মত প্রকাশ করলেন। অপরদিকে এর পাশাপাশি অভিষেকের পুরোভোট সহ সব বন্ধের ব্যাক্তিগত মত শুনে কংগ্রেসের নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেছেন, 'আমি তো অনেকদিন আগে থেকেই বলছিলাম পুরভোট বন্ধ করে দেওয়া হোক। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ সরকার জবরদস্তি যদি ভোট চাপান, এবং নির্বাচন কমিশন যদি তাকে অনুসরণ করেন, তাহলে আর কী করা আছে। এটা জবরদস্তি করার বিষয় নয়। আমি মনে করি তৃণমূল কংগ্রেস নেতা যেকথা বলেছেন সেকথা সঠিক। এটা তাঁর ব্যক্তিগত মত হলেও এইটাই যেন সরকার কর্তৃক বিবেচিত হয়।'