জেলা থেকে এবার জেলা শহরে। করোনা আক্রান্তের হদিশ মিলল হুগলির জেলার সদর শহর চুঁচুড়ায়। ওই ব্যক্তিকে চিকিৎসার জন্য কলকাতায় নিয়ে গিয়েছেন স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মীরা। আপাতত সতেরো দিন গৃহবন্দি থাকতে হবে ১০০টি পরিবারকে। তাঁদের জন্য হোম ডেলিভারির ব্যবস্থা করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: অনিয়ন্ত্রিত গোষ্ঠী সংক্রমণ, চন্দনগরের উর্দিবাজারে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে প্রশাসন
গ্রিনজোন নয়, করোনা ভাইরাস থাবা বসিয়েছে হুগলি জেলায়ও। কোভিড-১৯ রোগীর সন্ধান মিলেছে শ্রীরামপুর, ডানকুনি, কোন্নগর, রিষড়া-সহ বেশ কয়েকটি জায়গায়। তবে এতদিন পর্যন্ত নিরাপদই ছিল জেলা শহর চুঁচুড়া। কিন্ত সেই রেকর্ড আর অক্ষত থাকল কই! চুঁচুড়া স্টেশন রোডে একটি আবাসনে থাকেন মাঝ বয়সী এক ব্যক্তি। জানা গিয়েছে, দিন কয়েক আগে তাঁর লালারস বা সোয়াব পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। সংক্রমণ রুখতে আর ঝুঁকি নেয়নি জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর। আক্রান্ত ব্যক্তিকে কলকাতায় পাঠিয়ে দেওয়াই শুধু নয়, সোমবার পরিবারের ৬ জন সদস্যকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আবাসনের মূল ফটক সিল করে দিয়েছে প্রশাসন। নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে, ওই আবাসনের একশো মিটারের মধ্যে ওষুধের দোকান ছাড়া আর কোনও দোকান খোলা যাবে না।
আরও পড়ুন: দিঘায় করোনা আতঙ্ক, পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ স্থানীয়দের
আরও পড়ুন: আরও ৬ জন করোনা আক্রান্তের হদিস মালদহে, ৪ দিনে মোট আক্রান্ত ১৬
সূত্রের খবর, চন্দননগরে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। গোষ্ঠী সংক্রমণ নয় তো? চিন্তা বেড়েছে প্রশাসনের। আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়।