সংক্ষিপ্ত

 

  • পঞ্চায়েত সদস্যের অসাবধানতায় কি ঘটল বিপত্তি?
  • করোনা আতঙ্কে বিক্ষোভ স্থানীয়দের
  • উত্তেজনা ছড়াল দিঘায়
  • বর্ধমানে সংক্রমণ ধরা পড়ল স্বাস্থ্যকর্মীর
     

খোদ পঞ্চায়েত সদস্যের অসাবধানতায় কি ঘটল বিপত্তি? করোনা আতঙ্কে বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনায় উত্তেজনা ছড়াল দিঘায়। পুলিশ গিয়ে কোনওমতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

আরও পড়ুন: আরও ৬ জন করোনা আক্রান্তের হদিস মালদহে, ৪ দিনে মোট আক্রান্ত ১৬

পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘা থানার মির্জাপুর গ্রাম। এই গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্য দুলাল দে। তখন সবেমাত্র লকডাউন জারি হয়েছে। এপ্রিলে গুজরাত থেকে সস্ত্রীক এক আত্মীয় এসে হাজির হন পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়িতে। বেশ কয়েকদিন মির্জাপুর গ্রামে ছিলেন তাঁরা। জানা গিয়েছে, বুধবার নিজেদের বাড়িতে ফেরার পথে ওড়িশার বালেশ্বরে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যান ওই দম্পতি। লালারস পরীক্ষা করা হয় এবং স্বামী-স্ত্রী দু'জনেরই করোনা পজিটিভি রিপোর্ট আসে।  পঞ্চায়েত সদস্য দুলাল দে ও তাঁর পরিবারের দশজন সদস্যকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠিয়ে দেয় পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন।

ঘটনার কথা জানাজানি হতেই আতঙ্ক ছড়ায় দিঘায় মির্জাপুর গ্রামে। মঙ্গলবার সকালে পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে, তবে এলাকা যথেষ্ট উত্তেজনা আছে। বাংলা ও ওড়িশা সীমান্ত দিয়ে যাঁরা যাতায়াত করছেন, করোনা সতর্কতায় তাঁদের সকলেই থার্মাল স্ক্রিনিং শুরু করেছে পুলিশ। মাইকিং করে চলছে প্রচারও। 

আরও পড়ুন: লকডাউনের মাঝেই শুরু যাত্রীবাহী ট্রেন পরিষেবা, সাজো সাজো রব হাওড়ায়

আরও পড়ুন: লকডাউনে সহায় কাউন্সিলর, এবার 'বিনেপয়সা বাজার' বসল রায়গঞ্জেও

এদিকে ফের করোনা আক্রান্তের হদিশ মিলল পূর্ব বর্ধমানে। কেতুগ্রামে বাসিন্দা ওই মহিলা পেশায় স্বাস্থ্যকর্মী। কলকাতায় চাকরি করেন তিনি। জানা গিয়েছে, তিন দিনেক আগে বাড়ি ফেরেন ওই মহিলা। তাঁর লালারস বা সোয়াব পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। পরিবারের সদস্য-সহ চারজনকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে কোয়ারেন্টাইনে।