এফআইআর-এ নাম ছিল। নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের বিধায়ককে খুনের মামলায় এবার বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে নতুন করে সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিল রানাঘাট। মামলা থেকে অব্য়াহতি পাননি রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারও। তাঁর বিরুদ্ধেও রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থাকে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
২০১৮ সালে ৯ ফ্রেুয়ারি। সরস্বতী পুজোর আগের দিন নিজের পাড়াতেই একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন কৃষ্ণগঞ্জের তৎকালীন তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস। অনুষ্ঠান মঞ্চে খুব কাছ থেকে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। ঘটনাস্থলেই মারা যান বিধায়ক। ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয় রাজ্যে। বিধায়ক হিসেবে একজন নিরাপত্তারক্ষী পেতেন সত্যজিফ বিশ্বাস। কিন্তু ঘটনার দিন বিধায়কের নিরাপত্তারক্ষী ছুটি ছিলেন বলে জানা যায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের বক্তব্য, সত্যজিৎ বিশ্বাসকে যেদিন খুন করা হয়, সেদিন সন্ধে ৭টা থেকে ৮টার মধ্যে এলাকার ঘন ঘন লোডশেডিং-ও হচ্ছিল। তাহলে কি পরিকল্পনামাফিকই খুন করা হল কৃষ্ণগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ককে? সেই প্রশ্নও ওঠে। উল্লেখ্য, বিধায়ক হিসেবে এলাকায় যথেষ্ট জনপ্রিয় ছিলেন সত্যজিৎ বিশ্বাস। তাঁকে খুনের ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা।
তৃণমূল বিধায়ককে খুনের ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেফতার করে সিআইডি। ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এফআইআর করা হয় বিজেপি নেতা মুকুল রায় ও রানাঘাটের সাংসদ জগন্নাথ সরকারের বিরুদ্ধেও। জানা গিয়েছে, যে পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়, তাঁদের মধ্যে তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট পেশ করেন গোয়েন্দারা। প্রমাণের অভাবে বাকী দু'জনকে ছেড়ে দেওয়ার আবেদন জানানো হয়। মামলা থেকে অব্যাহতি পান বিজেপি নেতা মুকুল রায় ও দলের সাংসদ জগন্নাথ সরকারও। তবে দু'জনই সন্দেহের তালিকায় ছিলেন।
২০ আগস্ট মিলন সাহা একটি রানাঘাট আদালতে রিট পিটিশন দাখিল করে দাবি করেন, মুকুল ও জগন্নাথের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রক্রিয়া এখনও শেষ হয়নি। তাই মামলা থেকে তাঁদের অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত আইনগতভাবে ঠিক নয়। সেই আবেদনকে মান্যতা দিয়েই মুকুল রায় ও জগন্নাথ সরকারের বিরুদ্ধে ফের সিআইডি-কে তদন্ত করার নির্দেশ দিল রানাঘাট আদালত।