ব্য়বসায়ী খুনের মামলায় ফাঁসির সাজা হল অভিয়ুক্ত ছেলের। খুনে জড়িত থাকাায় ফাঁসি না হলেও যাবজ্জীবন সাজা হল অভিয়ুক্ত পরিবারের। শ্রীরামপুর কোর্টে এই ফাঁসির অর্ডার হয়েছে।
ছেলে তপন বাগকে ফাঁসির সাজা শুনিয়েছেন বিচারক। বাবা-মা নিরঞ্জন ও শেফালীকে যাবজ্জীবন সাজা দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, ব্যবসায়ী খুনের মামলাটি ২০০৮ সালের। আসামিদের বাড়ি , ডানকুনি থানার গোবরা শিবতলাতে । ২০০৮ সালে খুন হয়েছিলেন শৈলেন্দ্র কুমার শর্মা নামে এক ব্যবসায়ী । তিনি উত্তরপাড়া থানা এলাকায় একটি নাটবল্টু র কারখানা চালাতেন । প্রথমে তপন ওই কারখানায় শ্রমিক হিসেবে ঢোকে । এরপর তপন ওই কারখানাটি কিনে নিতে চায় । এই বলে সে মাসে মাসে টাকা দিত। সেই টাকা আনতে মোটর সাইকেল করে শৈলেন্দ্র গোবরা শিবতলাতে যেতেন । একদিন বেড়িয়ে আর ফেরেননি ।
২০০৮ সালে এই নিয়ে মিসিং ডায়েরি হয় উত্তরপাড়া থানায় । এই ডায়েরি করেন শৈলেন্দ্রর স্ত্রী । ঘটনার ঠিক দুদিন পরে আসামিদের বাড়ির কাছে একটি পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে দুর্গন্ধ বের হওয়ায় পুলিশে খবর যায় । খুঁজতে খুঁজতে ওই বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে টুকরো টুকরো দেহ পাওয়া যায় । শনাক্ত হয় দেহটি শৈলেন্দ্রবাবুর । দেহটি পচে গেছিল । কেস স্টার্ট হয় সেই বছরের এপ্রিলে ।
পরে এই মামলায় আসামিরা গ্রেফতার হয় । খুনের অপরাধ স্বীকার করে ওই পরিবার । মোটরবাইকটিও উদ্ধার হয় ধনেখালি থেকে । পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে তিনজন স্বীকার করে নেন,টাকা মেরে দেওয়ার জন্যই তারা এই খুনটা করে। দীর্ঘদিন জেলে থাকলেও অভিযুক্ত বাবা-মা হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়ে যায় । তবে ব্যবসায়ী খুনের মামলায় ছেলে জেল থেকে পালিয়ে যায় । পরে তাকে আবার ধরে আনে পুলিশ । নতুন মামলায় ফের তাকে জেলে যেতে হয়। এদিন শ্রীরামপুর acjm কোর্টের অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট অ্যান্ড সেশন জাজ মহানন্দ দাস ব্য়বসায়ী খুনের মামলায় অভিযুক্ত ছেলেকে ফাঁসির সাজা শোনান। এই মামলায় সরকারি আইনজীবী ছিলেন মুসা মল্লিক।