পুরুষের কাছে হাত পাততে হয় না, মুখোশ বানিয়ে সাবলম্বী বাগমুন্ডির মহিলারা

  • পুরুষের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলছে অর্থ উপার্জনের কাজ
  • পুরুলিয়ার বাগমুন্ডি ব্লকের চড়িদা গ্রামের আজ মুখোশ গ্রাম
  • মুখোশ বানিয়ে সাবলম্বী চড়িদার মহিলা মুখোশ শিল্পীরা।
  • আন্তর্জাতিক মহিলা দিবসে তাঁরাই সমাজের প্রেরণা

Asianet News Bangla | Published : Mar 8, 2020 2:12 PM IST / Updated: Mar 08 2020, 07:48 PM IST

পুরুষের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলছে অর্থ উপার্জনের কাজ। পুরুলিয়ার বাগমুন্ডি ব্লকের চড়িদা গ্রামের মুখোশ বানিয়ে সাবলম্বী চড়িদার মহিলা মুখোশ শিল্পীরা।
আন্তর্জাতিক মহিলা দিবসে তাঁরাই সমাজের প্রেরণা।

নারীদিবস কার চোখে কেমন, কী বলছেন এশিয়ানেট নিউজের নারী-শক্তি-র দল
 
কেবল শিল্পীসত্তা বাঁচিয়ে রাখার তাগিদে  নয়, মুখোশ বানিয়ে সংসার চালাচ্ছেন বাগমুন্ডির মহিলারা। ছেলে-মেয়ের পড়াশোনা থেকে সংসার খরচ সবেতেই চালাতে পুরুষদের সাথে সমান তালে সহযোগিতা করছেন তাল মিলিয়ে। আজ তাদের আর পুরুষের কাছে হাত পাততে হয় না। গ্রামের পূজা সূত্রধর,কাবেরী দত্তরা জানালেন, সংসারের কাজ ছাড়াও আমরা দিনে ৬-৭ টি মুখোশ তৈরিকরি। তাতে অনেকটা সুবিধা হয়।তবে সরকার একটু সাহায্য করলে ভালো হত। আজ আমরা স্বাধীন, তাই আজ আন্তর্জাতিক মহিলা দিবসে অন্যদের বলব-মহিলারা এগিয়ে আসুন, সাবলম্বী হোন।

অধীরের খাসতালুকে তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্ব, কোন্দল মেটাতে মাঠে প্রশান্ত কিশোর

পুরুলিয়ার ছৌ নাচের পাশাপাশি বাগমুন্ডির চড়িদা গ্রামের ছৌ মুখোশ শিল্পেরও বিশ্বব্যাপী সুখ্যাতি রয়েছে। অযোধ্যা পাহাড়ের কোলের এই  গ্রাম  আজ দূর-দূরান্তের পর্যটকদের কাছে বেশ জনপ্রিয়। তার কারণ পর্যটকরা অযোধ্যা পাহাড় বেড়াতে এসে চড়িডা গ্রামের মুখোশ না কেনে বাড়ি ফেরেন না। সিন্দ্রি গ্রাম পঞ্চায়েতের এই ছোট্ট গ্রাম আজ মুখোশ গ্রাম বলেই পরিচিত। 

রাজ্যসভায় তৃণমূলের ৪ প্রার্থীর নাম ঘোষণা, সুব্রত বক্সি, দীনেশ ত্রিবেদী, মৌসম নুর ও অর্পিতা ঘোষ

মোট আড়াইশোটি পরিবার শিল্পের সাথে যুক্ত রয়েছেন। বেশ কয়েক বছর থেকেই পুরুষ শিল্পীদের পাশাপাশি মহিলারাও মুখোশের কাজ শিখে পুরুষদের সাথে সমানতালে কাজ করে চলেছেন। পূজা সূত্রধর, কাবেরী দত্তরা জানান, বাড়ির পুরুষেরা মুখোশ বিক্রি  করেন, আমরা মুখোশ তৈরি করে দিচ্ছি। আগে সেটা সম্ভব হতো না। তার কারণ আগে আমরা মুখোশ বানাতে পারতাম না। এখনই মুখোশের কাজ শিখে নেওয়ায় পুরুষরা বেশিরভাগ সময় মুখোশ বিক্রি করতে পারছেন। এতে একদিকে যেমন রোজগারও বেড়েছে, সেরকম ব্যবসার প্রসার লাভ হয়েছে। আমরা চাই জেলার অন্যান্য মহিলারাও মুখোশের কাজ শিখে এই শিল্পকে টিকিয়ে রেখে স্বাবলম্বী হোক।

Share this article
click me!