বুলবুলের খবরই ছিল না, সত্তরজন যাত্রী সমেত বঙ্গোপসাগরে উদ্ধার ক্রুজ

Published : Nov 09, 2019, 11:45 PM IST
বুলবুলের খবরই ছিল না, সত্তরজন যাত্রী সমেত বঙ্গোপসাগরে উদ্ধার ক্রুজ

সংক্ষিপ্ত

সত্তরজন যাত্রী ছিল ক্রুজে শেষ মুহূর্তে উদ্ধার করে জেলা প্রশাসন নবান্নে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

আগাম সতর্কবার্তা জারি করে গভীর সমুদ্র থেকে ফিরিয়ে আনা হয়েছিল মৎস্যজীবীদের সমস্ত ট্রলার এবং মাছ ধরার নৌকা। তার পরেও অবশ্য নজরদারিতে ঢিলেমি দেয়নি জেলা প্রশাসন। যার ফলও পাওয়া গেল হাতেনাতে। প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়ার আগেই বঙ্গোপসাগর থেকে উদ্ধার করা হল সত্তর জন পর্যটক বোঝাই একটি ক্রজকে। 

ঘূর্ণিঝ়ড় বুলবুলের ক্ষয়ক্ষতি রুখতে রাজ্য প্রশাসনের তৎপরতা প্রসঙ্গে বলতে শনিবার এই ঘটনার কথা নিজেই জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী জানান, বঙ্গোপসাগর হয়েই যে ঘণ্টায় ১৩৫ কিলোমিটার বেগে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় এগিয়ে আসছে, তা জানতেনই না ওই ক্রুজে থাকা পর্যটক এবং কর্মীরা। শনিবার বুলবুল আছড়ে পড়ার আগে শেষ মুহূর্তে বঙ্গোপসাগরে জেলা পুলিশ এবং প্রশাসনের নজরদারি চালানোর সময়ই ওই ক্পুজটি নজরে আসে। দ্রুত ক্রুজের দায়িত্বে থাকা কর্মীদের ঘূর্ণিঝড়ের বিপদের কথা জানানো হয়। এর পরেই সময় নষ্ট না করে ক্রুজটিকে মৌসুনি দ্বীপের নিরাপদ জায়গায় নিয়ে আসা হয়। ক্রুজের আরোহীদের নামিয়ে নিরাপদে রাখার ব্যবস্থা করা হয়। 

মুখ্যমন্ত্রী জানান, ক্রুজে পর্যাপ্ত পরিমাণে খাবার এবং জল ছিলই। ফলে সত্তরজন পর্যটকের খাওয়া, দাওয়ার কোনও সমস্যা ছিল না। বরং ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়ার হাত থেকে রক্ষা পাওয়ায় প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তাঁরা। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, জেলা পুলিশ সুপারের উদ্যোগেই ওই ক্রুজটিকে উদ্ধার করা হয়। তা না হলে বড়সড় বিপদের আশঙ্কা যে ছিল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কারণ এ দিন সন্ধ্যার পরেই পূর্ব মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার বিস্তীর্ণ এলাকায় ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার বেগে আঘাত হানে বুলবুল। কিন্তু যতক্ষণ সে বঙ্গোপসাগরের উপরে ছিল, তার গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় প্রায় ১৪৫ কিলোমিটার। 

PREV
click me!

Recommended Stories

SIR-এর ভয়ে পালাচ্ছে অনুপ্রবেশকারীরা, ব্যাগ ও বস্তায় ভরে কী নিয়ে যাচ্ছে? দেখুন
চিংড়িঘাটায় ৩৬৬ মিটার 'জট' কাটবে? কলকাতা মেট্রো-সহ সবপক্ষকেই বুধবার বৈঠকে বসতে নির্দেশ