একশো থেকে দুশো কিলোমিটার এলাকা জুড়ে তাণ্ডব চালিয়েছে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল। ভয়ঙ্কর ঝড়ের জেরে কী কী ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা জানার জন্য ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলিতে আকাশপথেও সমীক্ষা চালানো হবে বলে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি, ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের সবরকম সাহায্য করা হবে বলেই আশ্বস্ত করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, ঘূর্ণিঝড়ের সবথেকে শক্তিশালী ভাগটি স্থলভূমিতে আঘাত হেনে ফেলেছে। এর পর ধীরে ধীরে ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডব কমবে বলেই আশা প্রকাশ করেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রী স্বীকার করে নেন, বুলবুলের তাণ্ডবে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। একশো থেকে দুশো মিটার এলাকা জুড়ে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, যে এলাকায় ঘূর্ণিঝড় আঘাত হেনেছে, সেখানে সমীক্ষা চালানো হবে। কলকাতা পুলিশের অত্যাধুনিক ড্রোন 'দুর্দান্ত'- এর সাহায্যে আকাশপথে সমীক্ষা চালানো হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ক্ষয়ক্ষতির হিসেব পেতে একদিনের বেশি সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
যে তিন জেলায় সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেই দুই চব্বিশ পরগণা এবং পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসকদের সঙ্গে নবান্ন থেকে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হয়েছে। এ দিন বিকেলের পর থেকেই নবান্নের কন্ট্রোল রুমে বসে থেকে সমস্ত উদ্ধারকাজের তদারকি করেন মুখ্যমন্ত্রী নিজে।
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, সবমিলিয়ে ১,৬৪,৩২০ জনকে সবমিলিয়ে উদ্ধার করা হয়েছে। তার মধ্যে ১,১২,৩৬৫ জনকে ত্রাণ শিবিরে রাখা হয়েছে। বাকিরা নিজেরাই নিরাপদ জায়গায় চলে গিয়েছেন। রাজ্যে মোট ৩১৮ টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী আশ্বস্ত করে বলেন, বাড়ি, ঘর, দোকান, ফসল থেকে শুরু করে যে কোনও ক্ষয়ক্ষতিতেই সাধ্যমতো সাহায্য করবে রাজ্য সরকার। যাঁদের বাড়ি ঘর ভেঙেছে, তাঁদের বাড়ি সম্পূর্ণ তৈরি না হওয়া পর্যন্ত ত্রাণ শিবিরেই রেখে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
উদ্ধারকাজের জন্য জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর দশটি দলকে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলিতে পাঠানো হয়েছে। রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ছ'টি দলও রয়েছে। এর পাশাপাশি ৯৪টি নৌকাও উদ্ধার কাজে নামানো হয়েছে।