শত প্রচারেও হুঁশ ফিরছে না, প্রতারকদের খপ্পরে পড়ে ৫০ হাজার খোয়ালেন গ্রাহক

  • ফের ব্যাঙ্ক প্রতারণার অভিযোগ।
  • নদিয়ার প্রতারকদের খপ্পরে পড়লেন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের গ্রাহক
  • ফোনে তাঁর কাছ থেকে এটিএমের পিন নম্বর জেনে নেয় প্রতারক
  • পাঁচ দফায় অ্য়াকাউন্ট থেকে গায়েব ৫০ হাজার টাকা

Asianet News Bangla | Published : Nov 5, 2019 9:04 AM IST / Updated: Nov 05 2019, 02:39 PM IST

প্রচারে কোনও খামতি নেই, বারবার সতর্ক করছে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। কিন্তু গ্রাহকদের যেন কিছুতেই হুঁশ ফিরছে না! নদিয়ার প্রতারকদের খপ্পরে পড়ে ৫০ হাজার খোয়ালেন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের এক গ্রাহক। প্রতারিতের দাবি, ফোনে পিন নম্বর জেনে তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে ৫ দফায় ৫০ হাজার টাকা তোলা হয়েছে। কল্যাণী থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই ব্যাঙ্ক গ্রাহক। কিন্তু টাকা কি আর ফিরে পাবেন? চিন্তায় পরিবারের লোকেরা।

 নদিয়ার গয়েশপুরের নতুনপাড়ায় থাকেন দিলীপ ঘোষ। পরিবারের আর্থিক অবস্থা একেবারেই ভালো নয়। দর্জি কাজ করে কোনওমতে সংসার চালান দিলীপ। অনেক কষ্টে সংসারের খরচ বাঁচিয়ে ৫০ হাজার টাকা জমিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু শেষপর্যন্ত সেই টাকাই কিনা হাতিয়ে নিল প্রতারকরা! ঘটনায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন দিলীপ ঘোষ ও তাঁর পরিবারের লোকেরা।

জানা গিয়েছে, স্টেট ব্যাঙ্কের গয়েশপুর শাখার গ্রাহক দিলীপ ঘোষ। এটিএম কার্ডে ব্যাঙ্কের সঙ্গে আর্থিক লেনদেন করেন তিনি।  দিলীপ ঘোষের দাবি, সোমবার বিকেলে তাঁর কাছে একটি ফোন আসে। যিনি ফোন করেছিলেন, তিনি বলেন, এটিএম কার্ডের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে।  নবীকরণের জন্য এটিএম কার্ড নম্বর ও পিন নম্বর প্রয়োজন। সরল বিশ্বাসের নিজের এটিএম কার্ডে নম্বর, এমনকী, পিন নম্বরও বলে দেন দিলীপ। এরপরই স্টেট ব্যাঙ্কের ওই গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট থেকে পাঁচ দফায় পঞ্চাশ হাজার টাকা তুলে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। টাকা তুলে নেওয়ার পর যথারীতি এসএমএসও পান দিলীপ। সঙ্গে সঙ্গে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গো যোগাযোগ করেন তিনি। কিন্তু তখন আর কিছুই করার ছিল না। ব্যাঙ্কের কর্তৃপক্ষের পরামর্শে কল্যাণী থানার অভিযোগ দায়ের করেছেন দিলীপ ঘোষ।

ব্যাঙ্কে লাইন দিয়ে টাকা তোলা বা টাকা জমা দেওয়ার দিন শেষ।  এখন ই-ব্যাঙ্কিং ও এটিএমের মারফৎ আর্থিক লেনদেন করেন গ্রাহকরা। কিন্তু কোনওভাবে যদি এটিএমের পিন নম্বরটি অন্য কেউ জেনে যান, তাহলে কিন্তু আর রক্ষে নেই! সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ক গ্রাহকদের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার কোনও ব্যাপারই নয়। আর সুযোগটাই কাজে লাগিয়ে রমরমিয়ে চলছে প্রতারণার কারবার। কখনও ব্যাঙ্ক আধিকারিক পরিচয়ে, আবার কখনও এটিএমের মেয়াদ শেষে যাওয়ার কথা বলে ফোনেই গ্রাহকদের কাছ থেকে এটিএমের পিন নম্বর জেনে নিচ্ছে প্রতারকরা। চোখের নিমেষে অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও হচ্ছে টাকা। বস্তুত, দিন কয়েক আগে উত্তর ২৪ পরগনার মছলন্দপুরে গ্রাহকদের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের এক কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। 
 

Share this article
click me!