নানান অছিলায় ফন্দি এঁটে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে এটিএম এর পিনকোড জেনে নিচ্ছে সাইবার অপরাধীরা। তারপর হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে টাকা। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জ, সাইদাপুর, ডোমকল, মধুপুর, মোহাম্মদপুর সহ একাধিক গ্রামে।
নাগরিক জীবনের উন্নতির সাথে সাথে জীবন মানেও এসেছে একাধিক বদল। সেই সঙ্গে অন্তর্জালের দুনিয়ায় পা রাখতে না রাখতেই ইন্টারনেটই বর্তমানে হয়ে উঠেছে মানব জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। কিন্তু ইন্টারনেটের অগ্রগতির সাথে সাথে জালিয়াতির(Fraud) দুনিয়াতেও বদলেছে অপরাধের ধরণ। নিত্যনতুন পন্থায় জালিয়াতির রাস্তা প্রশস্ত করেছে সাইবার অপরাধীরা(Cyber crime)। শহরের পাশাপাশি এবার গ্রামেও সক্রিয় হয়ে উঠছে সাইবার জালিয়াতদের একাংশ। বড়সড় ফাঁদ পেতে নিঃস্ব করে দিচ্ছে অসহায় গ্রামবাসীদের। এমন ঘটনা রীতিমতো চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে মুর্শিদাবাদের(Murshidabad) একাধিক প্রত্যন্ত এলাকায়।
বিশেষ সূত্র মারফত জানা যায়, বিভিন্ন বহিরাগত সাইবার জগতের অপরাধীরা এলাকার দুষ্কৃতীদের মাধ্যমে যোগাযোগ স্থাপন করে রীতিমতো এলাকায় সাইবার জালিয়াতির নেটওয়ার্ক তৈরি করে ফেলেছে। স্থানীয় গ্রামবাসীরা জানাচ্ছেন, বিভিন্ন সময়ে অচেনা নম্বর থেকে ফোন সহ একাধিক কৌশলে আমাদের সরলতার সুযোগ নিয়ে নানান তথ্য হাতিয়ে আমাদের অ্যাকাউন্ট সাফা করে দিচ্ছে দুষ্কৃতীরা। নানান অছিলায় ফন্দি এঁটে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে এটিএম এর পিনকোড জেনে নিচ্ছে তারা। তারপর হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে টাকা। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জ, সাইদাপুর, ডোমকল, মধুপুর, মোহাম্মদপুর সহ একাধিক গ্রামে। বিভিন্ন সূত্র মারফত জানা যায়, সম্প্রতি এক ব্যক্তির অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় ৭৫হাজার টাকা হাতিয়ে নিল সাইবার অপরাধীরা। সালাম শেখ নামে ওই ব্যক্তি ঘটনা জানতে পেরে বহরমপুরে সাইবার থানায় অভিযোগ করেছেন।
আরও পড়ুন-বারেবারে মুখ থুবড়ে পড়ছে বামেরা, ‘রেড ভলান্টিয়ার্স’ পালে হাওয়া লেগেও শূন্য কেন ভোট বাক্স
সূত্রের খবর, তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে ১৫ বার টাকা ট্রান্সফার করা হয়। প্রতিবারে চার হাজার ৯৯৯ টাকা করে হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। ওই ব্যক্তি বলেন, একটি অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন আসে। নিজেকে ব্যাঙ্ক আধিকারিক পরিচয় দিয়ে এটিএম কার্ড ব্লক হয়ে যাওয়ার ভয় দেখায়। তা চালু রাখতে হলে এটিএমের একটি নম্বর জানাতে হবে বলে জানায় ওই ব্যক্তি। তারপর ফোনে একটি ওটিপি যাবে। সেটা জানিয়ে দিলেই এটিএম কার্ড চালু থাকবে বলে জানানো হয়। তার নির্দেশমতো সবকিছুই ওকে জানিয়ে দিয়েছিলাম। অ্যাকাউন্টে এক লক্ষ ৯১ হাজার টাকা ছিল। কিছুক্ষণের মধ্যে দেখি অ্যাকাউন্ট থেকে ৭৫ হাজার টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, সাইবার অপরাধীদের এই কায়দা বহু পুরনো। এর আগেও একই কায়দায় তারা বহু অ্যাকাউন্ট সাফ করছে। ইনটেনসিভ মনিটরিং সিস্টেম এর মাধ্যমে পুরো বিষয়ের ওপর নজরদারি চালানো হচ্ছে বলে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে।