করোনার আতঙ্ক ভুলিয়ে দিয়েছে আমফান, ১২০ কোটি টাকার ক্ষতির মুখে সুন্দরবন

  • রাজ্যে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা
  • কিন্তু আমফানে আজ দিশেহারা বঙ্গবাসী
  • সামাজিক সুরক্ষার বিধির জলাঞ্জলি ঘটেছে
  • আমফানে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সুন্দরবন এলাকা

Asianet News Bangla | Published : May 23, 2020 3:58 AM IST / Updated: May 23 2020, 09:42 AM IST

গোটা দেশের সঙ্গে রাজ্যে যখন বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা তখনি বঙ্গে আগমন সুপার সাইক্লোন আমফানের। বর্তমানে রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যআ ৩,৩৩২। মারণ ভাইরাসে মারা গিয়েছেন ১৯৩ জন। করোনা নিয়ে সচেতন ছিলেন যে মানুষগুলি ঘর্ণিঝড় আমফানের আতঙ্ক তাঁদের আজ দিশেহারা করে দিয়েছে। তাই সামাজিক সুরক্ষার বিধি না মেনেই পথে আজ বেরিয়ে পড়েছেন আতঙ্কগ্রস্ত মানুষগুলি। এর ফলে করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা আরও বাড়ছে বলেই আশঙ্কা করছএন বিশেষজ্ঞরা।

এদিকে ঘূর্ণিঝড় আমফানে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হবে বলে আশঙ্কা করা হয়েছিল দিঘায়। কিন্তু ভাগ্যক্রেম সেভাবে ক্ষতি হয়নি এই এলাকায়। বরং অনেক বেসি ক্ষতির মুখে সুন্দরবনবাসী। ২০০৯ সালের আয়লার ক্ষতিই এখনও পর্যন্ত সুন্দরবনের অনেক প্রত্যন্ত এলাকায় মেটান সম্ভব হয়নি, সেখানে নতুন করে এই তাণ্ডব কীভাবে সামাল দেওয়া যাবে, তা নিয়ে চিন্তায় প্রশাসন।

গত ২ মাস ধরে দেশে করোনা সংক্রমণ আটকাতে চলছে লকডাউম। যার ফলে সুন্দরবনেও চাষাবাদ, মাছ ধরা, মধু সংগ্রহ কিছুই হয়নি। বাড়িতে চাল ছিল বাড়ন্ত। এই অবস্থায় মাথা গোজার ঠাঁইটুকুও হারিয়ে ফেললেন সুন্দরবনবাসী। 

সুপার সাইক্লোন আমফানে প্রভাবে কার্যত ধ্বংসের স্তূপে দাঁড়িয়ে বাদাবন ও তার অধিবাসীরা। ভেঙে গিয়েছে বাঁধ, ক্ষতিগ্রস্ত বিট অফিস, ভেঙেছ জেটি, নষ্ট হয়েছে জঙ্গেলর ধারে নাইলন ফেন্টিং। শনিবারের আগে সরকারের কাছে ক্ষয়-ক্ষতির প্রাথমিক রিপোর্টও জমা দিতে পারছেন না বনাধিকারিকরা। তবে সূত্রের খবর, ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে প্রায় ১২০ কোটি টাকার পরিকাঠামোগত ক্ষতি হয়েছে এই অঞ্চলে। এই অঙ্কটা আগামী দিনে বাড়বে বলেই মনে করছেন সরকারি আধিকারিকরা।

তবে এর মধ্যেও আশার আলো দেখাচ্ছে ২টি জায়গা। এখনও পর্যন্ত সুন্দরবনের বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভের বসতি এলাকা থেকে বড় কোনও প্রাণহানির খবর আসেনি। আর বাদাবনে রয়েল বেঙ্গল টাইগারও হয়তো বেঁচে গিয়েছে। এই প্রসঙ্গে রাজ্যের মুখ্য বনপাল রবিকান্ত সিনহার বক্তব্য, ‘ক্ষতি যে অপরিসীম, তা বলাই বাহুল্য। তবে এত ক্ষতি সয়েও সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ আবার কলকাতাকে বাঁচিয়ে দিয়ে গেল। হয়তো বাদাবনের বাঘকেও।’

Share this article
click me!