বরকে সঙ্গে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে ঢুকতে গিয়ে বিপাকে পড়লেন বসিরহাটের সাংসদ নুসরত জাহান। স্পেশ্যাল প্রোটেকশন গ্রুপ-এর সদস্যরা বাধা দিলে রেগে ঘটনাস্থল থেকেই চলে যান তিনি। জানা গিয়েছে, স্বামী নিখিল জৈন ছাড়াও দুই আপ্ত সহায়ককে নিয়ে এদিন প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে এসেছিলেন বসিরহাটের সাংসদ।
মুখ্যমন্ত্রীর ডাকে আমফানে বাংলার পাশে দাঁড়াতে শুক্রবারই রাজ্য়ে চলে আসেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলার বিপর্যস্ত অবস্থা পরিদর্শন করতে এদিন হেলিকপ্টারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে নিয়ে তিনি দুই ২৪ পরগনার বিপর্যস্ত এলাকা ঘুরে দেখেন। ম্যাপে পুরোনো অবস্থার সঙ্গে বর্তমান অবস্থা মিলিয়ে দেখেন তিনি। পরিদর্শনকালে তাঁকে দেখা গিয়েছে বাইরে চোখ রাখলেও ম্যাপে নজর রাখতে। পরে বসিরহাটে প্রশাসনিক বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী।
সেখানে মুখ্যমন্ত্রী,রাজ্য়পাল ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন আরও চার কেন্দ্রীয়মন্ত্রী। বসিরহাট কলেজে বৈঠক করেন তারা। এদিন বসিরহাট কলেজ লাগোয়া পিছনের মাঠে তৈরি অস্থায়ী একটি হেলিপ্যাড তৈরি হয়েছিল। সেখানেই এক চপার থেকে নামেন মুখ্যমন্ত্রী-রাজ্যপাল-প্রধানমন্ত্রী।
আমফানে বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বসিরহাটে। জানা গিয়েছে, সেখানে ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদিন সেখানে মোদীকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত হন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়, দেবশ্রী চৌধুরি-সহ বিজেপি নেতৃত্ব। সেখানে যান সাংসদ নুসরতও। স্বামী নিখিল জৈন ও দুই আপ্তসহায়ককে নিয়ে কলেজে ঢোকার মুখে নুসরতকে প্রথমে বাধা দেওয়া হয়। যদিও পরে সাংসদ পরিচয় দেওয়ায় কেবল তাকেই ভিচরে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হয়। সূত্রের খবর. নিরাপত্তা আধিকারিকদের সঙ্গে দু-এক দফা কথা হয় তার। কিন্তু তাতে কাজ না হওয়ায় রেগে এলাকা ছাড়েন নুসরত।