বাইকের পিছনে প্রেমিকাকে বসিয়ে বিপজ্জনক স্টান্ট, পুলিশের হাতে একের পর এক গ্রেফতার

  •  লকডাউনের সুযোগে বিপজ্জনক বাইক স্টান্ট
  • স্টান্ট দেখানোর খেলায় মেতেছে যুবকরা
  • মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন এলাকায় বিপজ্জনক স্টান্ট চলছে
  • ধরপাকড় শুরু করেছে পুলিশ

Parna Sengupta | Published : Jun 6, 2021 4:28 AM IST / Updated: Aug 27 2021, 12:57 PM IST

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে লকডাউনের সুযোগে বিপজ্জনক বাইক স্টান্ট দেখানোর খেলায় মেতেছে যুবকরা। মুর্শিদাবাদের শহর এলাকাগুলিতে  একশ্রেণীর 'রোমিও বাইক বাহিনীদের' তান্ডবে রীতিমত তটস্থ এলাকার বাসিন্দারা। আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে জেলার সদর শহর বহরমপুরে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বাইকে চড়া রোমিও বাহিনীর দল। একদিকে লকাডাউন,তার মধ্যে মাঝেমধ্যে বৃষ্টি বাদলের দিনে শহরে বাড়বাড়ন্ত রোমিওদের। বাইকের পিছনে কেউ প্রেমিকাকে বসিয়ে, কেউ বা একাধিক মেয়েকে সাথে নিয়ে স্টান্টবাজীতে মেতে উঠেছে।

যদিও তাদের শায়েস্তা করতে রীতিমতো কঠোর হাতে মাঠে নেমেছে পুলিশ প্রশাসন। এমনকি পুলিশের হাতে পাকড়াও হয়েছে এই ধরনের একাধিক 'রোমিও বাইক বাহিনী'। আর এই রোমিও বাইক বাহিনীদের দাপটে রীতিমতো তটস্থ হয়ে উঠেছে শহরের মানুষের জনজীবন। মূলত খাগড়া, নতুন বাজার, ফরাসডাঙা, খাগড়া শ্মশানঘাট সহ বিভিন্ন এলাকা সহ বিভিন্ন অলিগলিতে এদের দাপাদাপি। 

পুলিশের উচ্চপদস্থ এক আধিকারিক জানান, আমরা সব সময় নজর রেখে চলেছি, যাঁরা অকারণে এই ধরনের বাইক নিয়ে স্টান্টবাজি করছে তাদেরকে দেখলেই ধরা হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, বিধিনিষেধ আরোপ হওয়ায় রোমিওরা যেন বাড়তি সুযোগ পেয়ে গিয়েছিল। ফাঁকা রাস্তায় তাদের বাইকের গতি আরও বেড়ে গিয়েছিল। দ্রুতগতিতে বাইক চালানোর পাশাপাশি তারা সন্ধ্যার দিকে ভাগীরথীর তীরে বসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা জমিয়ে আড্ডা দিচ্ছিল। আবার ইচ্ছা হলেই তারা স্টান্টবাজি করছিল। বাইকে বিকট আওয়াজ করে তারা দ্রুত গতিতে ছুটে যাওয়ায় অনেকেই বিরক্তি বোধ করেন। তাছাড়া যে কোনও সময় বড় দুর্ঘটনা হতে পারে। তাই পুলিশের সবসময়ই কড়া পদক্ষেপ নেওয়া উচিত বলে স্থানীয় বাসিন্দারা দাবি করছেন।

দুর্গাপুজোর সময় জ্বালাবে না লোডশেডিং, কী ব্যবস্থা করছে রাজ্য, জানালেন অরূপ বিশ্বাস

Mother Teresa birth anniversary: জন্মদিনে ফিরে দেখা মাদার টেরেসার কিছু অদেখা ছবি

বাড়ি বাড়ি ঢুকে বিয়ে করার জন্য মেয়ে খুঁজছে তালিবান, শিউরে ওঠা অভিজ্ঞতা মহিলা সাংবাদিকের

বহরমপুরের বাসিন্দা চন্দন রায়, আকবর হোসেনরা বলেন, কয়েকটি এলাকায় বিকেল থেকেই বাইক চালকদের দৌরাত্ম্য বেড়ে যায়। তারা কোনও কিছুরই তোয়াক্কা করে না। এলাকার লোকজন নিষেধ করলেও কানে নেয় না। অনেক সময় এক একটি বাইকে তিনজন পর্যন্ত থাকে। কোনও কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গেলে বড়সড় দুর্ঘটনা হতে পারে। তাদের জন্য পথচলতি লোকজনও বিপদে পড়তে পারে।

পুলিস সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, এই দৌরাত্ম্য রুখতে লাগাতার অভিযান চলবে। প্রথমদিকে কোনও কারণ ছাড়া বাড়ির বাইরে বেরনো লোকজনদের সতর্ক করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, তাতে কোনও কাজ হচ্ছিল না। সেই কারণেই এবার ধরপাকড় শুরু হয়েছে।

Share this article
click me!