সাতসকালে নদীপে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা চেষ্টা করল দুই তরুণী। সম্পর্কে আবার তাঁরা বোন। শেষপর্যন্ত স্থানীয়দের তৎপরতায় প্রাণ বেঁচে গিয়েছে দু'জনেই। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে উত্তর ২৪ পরগণার বসিরহাটে। আশঙ্কাজনক ওই দুই তরুণী ভর্তি কলকাতার আরজিকর হাসপাতালে। কেন তাঁরা এমন কাণ্ড ঘটাল, তা অবশ্য স্পষ্ট নয়। তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
একজনের নাম সাবিনা ইয়াসমিনস আর অন্যজনের নাম লাভলি খাতুন। বসিরহাটের ন্যাজাট এলাকার বাসিন্দা ওই তরুণী সম্পর্কে বোন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার সকালে বসিরহাট শহর লাগোয়া মালঞ্চ সেতু থেকে বিদ্যাধরী নদীতে ঝাঁপ দেন সাবিনা ও লাভলি। ঘটনার আস্মকিতায় প্রথমে হকচকিয়ে গিয়েছিলেন আশেপাশের মানুষেরা। শেষপর্যন্ত তাঁরাই ওই তরুণীকে নদী থেকে উদ্ধার করেন। সাবিনা ও লাভলিকে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয় কলকাতায়। দু'জনেই ভর্তি আরজিকর হাসপাতালে। তাঁদের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে।
কিন্তু কেন নদীতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করতে গিয়েছিলেন ওই দুই তরুণী? তা অবশ্য স্পষ্ট নয়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, সাবিনা ইয়াসমিন বিএ প্রথম বর্ষের ছাত্রী। আর তাঁর বোন লাভলি স্থানীয় এক স্কুলে দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়ে। দুই বোনের সম্পর্কও যথেষ্ট ভাল। পড়াশোনা চাপ নাকি বাবা-মা-র বকুনি? আত্মহত্যার কারণ অনুসন্ধান নেমেছে মিনাখাঁ থানার পুলিশ।
তরুণ কিংবা তরুণীরা শুধু নয়, ইদানিং সামান্য কারণে কিশোর, এমনকী বালক বয়সেও আত্মহত্যার প্রবণতা বাড়ছে। বুধবার দক্ষিণ ২৪ পরগণার বাঘা যতীন এলাকায় পড়াশোনা নিয়ে বাবা-মায়ের বকুনি সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করে বছর বারোর ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্র।