নদীতে গরুর দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড়ে। বিশ্বকর্মা পুজোর দিন ৮টি গরুর দেহ ভাসতে দেখা যায় কেলেঘাই নদীতে। এর পিছনে গরুর ব্যবসায়ীদের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
বিশ্বকর্মা পুজোর মাঝেই গরুর দেহ ঘিরে উত্তেজনা পোক্তাপুল এলাকায় । এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বুধবার সকালে বেলদা থেকে খড়গপুরগামী ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের পোক্তাপুলের নীচে ৭থেকে ৮ টি গরুর দেহ দেখতে পান তাঁরা। একসঙ্গে এতগুলো গরুর মৃতদেহ দেখে খোঁজ শুরু হয় নারায়ণগড় ও সংলগ্ন গ্রামে । কিন্তু কোথাও গরুর মৃত্যুর খবর না পেয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন গ্রামবাসীরা। তাঁদের অভিযোগ, জাতীয় সড়ক ধরে গরু নিয়ে যাওয়ার সময়ই মৃত্যু হয়েছে ওই গরুগুলির। গাদাগাদিভাবে ঠেসে গাড়িতে নিয়ে যাওয়াতেই এই ঘটনা ঘটেছে। গরুই হাটের শেষে নদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছে মরা গরুগুলি।
মুশকিল আসানের নাম মোবাইল, বিশ্বকর্মা পুজো আরাধনা হল রায়গঞ্জে
চন্দ্রকোনায় ১১ ফুটের পাইথন উদ্ধার, এলাকায় আতঙ্ক, দেখুন বিশালাকার সেই পাইথনের ভিডিও
স্নান সেরে সাজল হাতির দল, ডুয়ার্সে ধুমধাম করে হল বিশ্বকর্মার বাহনের পুজো
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ,পশ্চিম মেদিনীপুরের ধনেশ্বরপুরে প্রতি রবিবার গরুর হাট বসে। বহু গরুর ব্য়বসায়ী সেখানে আসেন। এছাড়াও ওড়িশা সীমান্ত থেকে অনেক গরুর গাড়ি এই ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে যাতায়াত করে। নারায়ণগড়ের পোক্তাপুল দিয়ে যাওয়ার সময় তারাই এই কাজ করেছে। ঘটনার পরই জল দূষণের আশঙ্কায় খবর দেওয়া হয়েছে থানায়। কেন মরা গরু নদীতে ফেলা হবে তা নিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয়দের দাবি,ঘটনাস্থলে রাস্তা নির্মাণকারী ঠিকাদার সংস্থার একটি অফিস রয়েছে। যেখানে রাতে নিরাপত্তার দায়িত্বে লোকজন থাকেন। নদীতে গরু ফেলার জন্য ওই ঠিকাদার সংস্থার ভেতরের রাস্তা ব্যবহার করা হতে পারে বলে মনে করছেন গ্রামবাসীরা। এই কাণ্ডের পিছনে ওই সংস্থার কর্মীরাও জড়িত থাকতে পারে বলে অনুমান তাঁদের। ইতিমধ্য়েই গরুর দেহগুলিকে নদী থেকে তোলা হয়েছে।