'সারদায় টাকা নিয়েছেন শুভেন্দু-সুজন, মিথ্যা বয়ান লিখতে চাপ দিচ্ছে সিআইডি', বিস্ফোরক চিঠি দেবযানীর মায়ের

চিঠিতে, শর্বরী দেবী অভিযোগ করেছেন যে সিআইডি ডিরেক্টর অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় দমদম সেন্ট্রাল কারেকশনাল হোমে গিয়েছিলেন, যেখানে দেবযানী রয়েছেন। ২০২২ সালরে ২৩শে জুলাই দমদম জেলে গিয়ে দেবযানীর সঙ্গে কথা বলেন ও তাঁকে নাকি মিথ্যা বয়ান দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হয়।

Parna Sengupta | Published : Sep 8, 2022 8:53 AM IST / Updated: Sep 08 2022, 02:41 PM IST

সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনের কাছে বিস্ফোরক চিঠি। সারদা চিটফান্ড কেলেঙ্কারির অন্যতম অভিযুক্ত দেবযানীর মায়ের তরফ থেকে গিয়েছে এই চিঠি। তাঁর অভিযোগ তাঁর মেয়েকে নাকি সিআইডির বেশ কয়েকজন আধিকারিক চাপ দিচ্ছে মিথ্যা বয়ান দেওয়ার জন্য। সারদা কেলেঙ্কারিতে ছয় কোটি করে টাকা নিয়েছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। এই বয়ান দেওয়ার জন্য দেবযানীকে চাপ দিচ্ছে সিআইডি বলে অভিযোগ দেবযানীর মায়ের। 

বহু কোটি টাকার কেলেঙ্কারির তদন্তে থাকা সিবিআইকে চিঠিটি পাঠিয়েছেন প্রধান অভিযুক্ত দেবযানী মুখোপাধ্যায়ের মা শর্বরী মুখোপাধ্যায়। দেবযানী মুখোপাধ্যায় গত নয় বছর ধরে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন। চিঠিতে, শর্বরী দেবী অভিযোগ করেছেন যে সিআইডি ডিরেক্টর অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় দমদম সেন্ট্রাল কারেকশনাল হোমে গিয়েছিলেন, যেখানে দেবযানী রয়েছেন। ২০২২ সালরে ২৩শে জুলাই দমদম জেলে গিয়ে দেবযানীর সঙ্গে কথা বলেন ও তাঁকে নাকি মিথ্যা বয়ান দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হয়।  সিআইডি ইন্সপেক্টর দেবযানী মুখোপাধ্যায়কে এমন বিবৃতি না দিলে আরও নয়টি মামলায় মামলা করার হুমকিও দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা রিপোর্টটি দাখিল করার সময় পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে চাননি। তবে সিআইডির অতিরিক্ত ডিরেক্টর, আর. রাজশেকরন দাবি করেছেন যে চিঠিতে করা অভিযোগগুলি মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন।

চিঠিটি সামনে আসার সাথে সাথে, শুভেন্দু অধিকারী অবিলম্বে একটি টুইটার বার্তা দেন। গোটা অভিযোগ সামনে এনে কড়া সমালোচনা করেন। ন যেখানে তিনি দাবি করেছেন যে এটি লজ্জার বিষয় যে সিআইডির মতো একটি সংস্থা এখন রাজ্যের শাসক দলের হয়ে কাজ করছে। 

টুইটারে শুভেন্দু বলেন এটা রীতিমত অসম্মানের যে গৌরব ঐতিহ্যের অধিকারি সিআইডি এখন পশ্চিমবঙ্গে বুয়া ভাতিজার বেতনভুক হয়ে গিয়েছে। রাজ্যের বিরোধী নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা বিবৃতি দেওয়ার জন্য বিচারাধীন বন্দীকে ভয় দেখিয়ে সিআইডি রাজ্য সরকারের ঘৃণ্য স্বার্থকেই স্বীকৃতি দিচ্ছে। 

অন্যদিকে, সুজন চক্রবর্তী বলেছেন যে কোনও সংস্থাই এই তদন্ত করতে পারে। তিনি এই বিষয়ে যে কোনও সংস্থার তদন্তের মুখোমুখি হতে প্রস্তুত। তবে গত নয় বছর ধরে কারাবন্দী একজন বিচারাধীন বন্দিকে এই ধরনের ভয় দেখানোটা অকল্পনীয়। যাইহোক, আমরা এমন কোনও চাপের কাছে নতি স্বীকার করব না। আমি ভাবছি কেন তৃণমূল কংগ্রেস এখনও সিপিআই-এমকে এত ভয় পায়, যার পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় একটিও প্রতিনিধি নেই,”। 

Share this article
click me!