একজনের বাড়ি কলকাতায়, আর একজন দক্ষিণ ২৪ পরগণার বাসিন্দা। রাজ্যে ডেঙ্গুতে প্রাণ গেল আরও দু'জনের। কলকাতায় ডেঙ্গুতে মৃত্যুতে পুরসভার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, শহরে ডেঙ্গু নিধনে কার্যত কোনও ব্যবস্থাই নিচ্ছে না পুরসভা। নিয়মিত এলাকায় সাফাই অভিযান চালান না পুরকর্মীরা।
উত্তর কলকাতার শ্যামপুকুর এলাকার বাসিন্দা ছিলেন রোহিত কুমার। কয়েক দিন ধরেই জ্বরে ভুগছিলেন তিনি। চিকিৎসা চলছিল, কিন্তু জ্বর কিছুতেই কমছিল না। তেমনই দাবি পরিবারের লোকেদের। তাঁদের বক্তব্য, রক্ত পরীক্ষায় রোহিতের ডেঙ্গু ধরা পড়েছিল। দেরি না করে তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। রবিবার রাতে হাসপাতালে মারা যান রোহিত কুমার। মৃত্যুর খবর জানাজানি হতেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। কলকাতা পুরসভার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। রোহিতের মৃত্যুর জন্য কার্যত পুরসভার গাফিলতিকেই দায়ি করেছেন তাঁরা।
আরও পড়ুুন :হাওড়ার তৃণমূল নেত্রীর নাম করে প্রতারণার ছক, টাকা চেয়ে ফেসবুকে মেসেজ
এদিকে আবার রবিবার দুপুরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগণার বিষ্ণুপরে এক যুবকের মৃত্যু খবর পাওয়া দিয়েছে। মৃতের নাম সুরজিৎ সামন্ত। পেশায় তিনি ফিজিওথেরাপিস্ট, থাকতেন বিষ্ণুপুরের উত্তরকন্যা নগরে। পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, ১ ডিসেম্বরে জ্বরে উপসর্গ নিয়ে বেহালা ঠাকুরপুরের একটি নার্সিংহোমে ভর্তি হন সুরজিৎ। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি, বরং তাঁর শারীরিক অবস্থায় আরও অবনতি ঘটে। গত বহস্পতিবার ওই যুবককে ভর্তি করা হয় বাইপাসের ধারে অন্য একটি নার্সিংহোমে। ররিবার দুপুরে মারা যান সুরজিৎ সামন্ত। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে এলাকায়। সুরজিত বিবাহিত, তাঁর এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। এর আগে শুক্রবার হাওড়াতেও ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা যান এক তরুণী।
পুজোর পুর থেকে শহরে ডেঙ্গু প্রকোপ বাড়ছে। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। মারা গিয়েছেন অনেকেই। গত মঙ্গলবার কলকাতায় একই দিনে মারা যান পুরকর্মী-সহ তিনজন। বস্তুত, বড়বাজারে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে প্রাণ গিয়েছেন একজনের। মশাবাহিত রোগের প্রকোপে পুরসভার ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে সাধারণ মানুষের।