হাওড়ার তৃণমূল নেত্রীর নাম করে প্রতারণার ছক, টাকা চেয়ে ফেসবুকে মেসেজ

  • প্রথমে আলাপচারিতা, তারপরেই মোটা অঙ্কের টাকা চাওয়া
  •  কোন অ্য়াকাউন্টে টাকা পাঠাতে হবে সেটাও বলা ছিল 
  • স্বভাবতই টাকা চাওয়ার বার্তা পেয়ে  সবাই বাকরুদ্ধ
  • অবশ্য় এ ব্য়াপারে খোদ নেত্রী নিজেও কিছু জানতেন না

Ritam Talukder | Published : Dec 9, 2019 9:35 AM IST / Updated: Dec 09 2019, 03:17 PM IST

প্রথমে আলাপচারিতা আর তারপরেই মোটা অঙ্কের টাকা চাওয়া। তাও আবার খোঁদ হাওড়া জেলার তৃণমূল মহিলা সংগঠনের সভাপতির ফেসবুক মেসেঞ্জার থেকে। এমনকী কোন অ্য়াকাউন্টে টাকা পাঠাতে হবে সেটাও নির্দিষ্ট করে বলা আছে। শুনতে অবাক লাগলেও এমনটাই হয়েছে। অবশ্য় এ ব্য়াপারে খোদ নেত্রী কিছুই জানতেন না।

আরও পড়ুন, 'পেঁয়াজ কেন্দ্রের সাবজেক্ট', মূল্যবৃদ্ধির দায় মোদী সরকারের উপর চাপালেন মুখ্যমন্ত্রী

স্বভাবতই টাকা চাওয়ার বার্তা পেয়ে  সবাই বাকরুদ্ধ। এবং সেই তালিকায় নেত্রীর ছেলে, আত্মীয় সজন থেকে শুরু করে জেলা ও ব্লক স্তরের নেতারাও রয়েছেন। এরপরই সরাসরি ফোন করা হয় এই বিষয় নিয়ে নেত্রীকে।  কিন্তু যার ফেসবুক মেসেঞ্জার তিনি নিজেই এ ঘটনা সম্বন্ধে কিছুই জানতেন না।গত বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাটি জানতে পেরে রীতিমত চমকে যান, তৃণমূল মহিলা সংগঠনের সভাপতি রেখা রাউত। তিনি জানান , কারো কাছেই তিনি টাকা চেয়ে পাঠাননি।  মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ও অরূপ রায়ের পরামর্শে ওই নেত্রী লিলুয়া থানা ও হাওড়া সিটি পুলিশের অপরাধ দমন শাখায় গিয়ে অভিযোগ জানান। 

আরও পড়ুন, বাড়ির অমতে বিয়ে, শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে মেয়েকে কোপাল বাবা

আসলে পুরো ব্য়াপারটাই ঘটেছে, ওই নেত্রীর চোখের আড়ালেই। অন্য় কেউ তাঁর ফেসবুক অ্য়াকাউন্ট পাসওয়ার্ড জেনে ফেলেছে। এবং তারাই ওই নেত্রীর ফেসবুক মেসেঞ্জারটি হ্য়াক করেছে। অবশ্য় হাওড়া জেলার ওই নেত্রী তা ভূল করেও জানতে পারেননি। মূলত ওই সব মেসেজগুলি করা হয়েছে , গুরগ্রাম ও ফরিদাবাদের থেকে। 
 

Share this article
click me!