শিশুর পর এবার যুবক, পর পর দু'দিন হুগলিতে প্রাণ কাড়ল ডেঙ্গু

  • হুগলিতে ডেঙ্গুর বলি বাইশ বছরের যুবক
  • চন্দননগর মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন সোনু চৌধুরী
  • পুর পরিষেবা নিয়ে অভিযোগ মৃতের পরিবারের
  • পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জরুরি বৈঠকে জেলাশাসক

  •  

debamoy ghosh | Published : Nov 20, 2019 9:40 AM IST

শ্রীরামপুরের পর এবার চন্দননগর। হুগলি জেলায় ডেঙ্গুর বলি আরও এক। এবার প্রাণ হারালেন বাইশ বছরের তরতাজা এক যুবক। মৃতের নাম সোনু চৌধুরী। ওই যুবকের মৃত্যুর পরেই নিজেদের এলাকায় কাউন্সিলরের ভূমিকা নিয়ে সরব হয়েছে সোনুর পরিবার।

আরও পড়ুন- ডেঙ্গুতে ফের শিশু মৃত্যু, মোকাবিলায় এবার পড়ুয়াদের মশারি দেবে শিক্ষা সংসদ

আরও পড়ুন- ডেঙ্গুতে তিন বছরের শিশুর মৃত্যু নিয়ে চাপানউতোর , পুরসভার অভিযোগ খারিজ হাসপাতালের

মৃত সোনু চৌধুরী ভদ্রেশ্বর পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। গত ১৬ তারিখ প্রবল জ্বর নিয়ে চন্দননগর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি ছিল ওই যুবক। রক্ত পরীক্ষায় তাঁর ডেঙ্গু ধরা পড়ে। এর পর থেকেই তাঁর অবস্থার অবনতি হতে থাকে। শেষ পর্যন্ত মঙ্গলবার রাতে সোনুকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করার পরামর্শ দেন হাসপাতালের চিকিৎসকরা। কিন্তু এ দিন ভোরে তাঁকে কলকাতায় নিয়ে আসার সময় পথেই মৃত্যু হয় সোনুর। 

হাসপাতালের সুপার জগন্নাথ মণ্ডল ওই যুবকের ডেঙ্গুতে মৃত্য়ু হয়েছে বলে স্বীকার করে নিয়েছেন। যদিও তাঁর দাবি, ওই যুবক আগে থেকে জন্ডিসে আক্রান্ত ছিলেন। তার উপরে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হওয়ায় তাঁর লিভার মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। নাক, মুখ দিয়ে রক্তপাত শুরু হয়। অবস্থার ক্রমশ অবনতি হতে থাকাতেই তাঁকে কলকাতায় রেফার করা হয়। জগন্নাথবাবু জানিয়েছেন, ওই হাসপাতালেই আরও আটজন রোগী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি রয়েছেন। 

ভদ্রেশ্বরের তেরো নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত মালাপাড়া বাইলেনের বাসিন্দা ছিলেন মৃত সোনু।  মৃত যুবকের পরিবারের অভিযোগ, এলাকায় ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে কোনও উদ্যোগই নেন না স্থানীয় পুরপ্রতিনিধি। এলাকা অপরিষ্কার হয়ে থাকাতেই বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রভাব।  সেই কারণে ওই অঞ্চলের অনেকেই ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। সোনুর দাদা কার্তিক চৌধুরী বলেন, 'আমাদের এলাকায় আমরা ঠিকমতো পুর পরিষেবা পাইনা। পুরসভার উদাসীনতায় আমার ভাইটা আজ চলে গেল।'

যদিও মৃতের পরিবারের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই ওয়ার্ডের বিজেপি কাউন্সিলর পান্নালাল সাউ। তাঁর দাবি, 'ওই যুবকের মৃত্যু খুবই দুঃখজনক ঘটনা। কিন্তু আমার ওয়ার্ড আমি সাধ্যমতো পরিষেবা  দিই। এটা সবাই জানেন। শোকে এই সমস্ত অভিযোগ করছে মৃতের পরিবার।'

সোনু একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র ছিলেন। তাঁর বাবা দিলীপ চৌধুরী বন্ধ হয়ে যাওয়া গোন্দলপাড়া জুট মিলের কর্মী। ছোট ছেলের মৃত্যুতে বাড়িতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। মঙ্গলবারই শ্রীরামপুরে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে সুনীধী শর্মা নামে একটি ৫ বছরের শিশু মারা গিয়েছিল। এ দিন  দুপুরে হুগলির জেলাশাসক ওয়াই রত্নাকর রাও শ্রীরামপুরের এসডিও অফিসে ডেঙ্গু নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসেছেন। 
 

Share this article
click me!