সংক্ষিপ্ত

  • ডেঙ্গুতে মৃত তিন বছরের অহর্ষি ধর
  • শিশুর মৃত্যুর জন্য হাসপাতালকে কাঠগড়ায় তুললেন ডেপুটি মেয়র
  • পুরসভার অভিযোগ খারিজ করলেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ

তিন বছরের শিশুর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু। আর তা নিয়েও শুরু হয়ে গেল চাপানউতোর। মৃত শিশুটি কলকাতা পুরসভা এলাকার বাসিন্দা না হলেও কলকাতার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষের অভিযোগ, চিকিৎসার সময়ে  অতিরিক্ত ফ্লুইড দেওয়ার কারণেই মৃত্যু হয়েছে শিশুটির। 

লেকটাউনের বাসিন্দা মৃত ওই শিশুটির নাম অহর্ষি ধর। গত বুধবার থেকে জ্বরে আক্রান্ত হয় অহর্ষি। তাকে ভর্তি করা হয় পার্ক সার্কাসের ইনস্টিটিউট অফ চাইল্ড হেলথ-এ। শনিবার তার প্লেটনেট নেমে যায় চব্বিশ হাজারে। প্লেটলেট দিয়েও কাজ হয়নি। রবিবার রাতে সেখানেই মৃত্যু হয় শিশুটির। আর এর পরেই শুরু হয়ে যায় চাপানউতোর। 

অহর্ষির মৃত্যুর পরেই কলকাতা এবং সংলগ্ন এলাকার ডেঙ্গুর বাড়বাড়ন্ত নিয়ে  প্রশাসনের ভূমিকা প্রশ্নের মুখে পড়ে। মৃত শিশুটি লেকটাউন এলাকার একটি অভিজাত আবাসনের বাসিন্দা ছিল। ওই এলাকাটি পড়ে দক্ষিণ দমদম পুরসভা এলাকার মধ্যে। 

আরও পড়ুন- ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে জীবনে ইতি, ৩ বছরের খুদের অঙ্গদানের সিদ্ধান্ত পরিবারের

শিশুটির মৃত্যুর পরেই প্রথমে দক্ষিণ দমদম পুরসভার চেয়ারম্যান দাবি করেন, অভিজাত আবাসনগুলিতে পুরকর্মীদের ঢুকতে দেওয়া হয় না বলেই সেখানে ডেঙ্গু ছড়াচ্ছে। একধাপ এগিয়ে কলকাতা পুরসভার ডেপুটি মেয়র এবং স্বাস্থ্য বিভাগের মেয়র পারিষদ অতীন ঘোষ অভিযোগ করেন, শিশুটির চিকিৎসা পদ্ধতিতে ভুল হওয়াতেই তার মৃত্যু হয়েছে। শিশুটিকে মাত্রাতিরিক্ত ফ্লুইড দেওয়া হয় বলে অভিযোগ অতীনবাবুর। হাসপাতালের নার্সদের ডেঙ্গু রোগীদের পরিচর্যা করার যথাযথ প্রশিক্ষণ নেই বলেও অভিযোগ করেন অতীনবাবু। হাসপাতালগুলিকে আরও দায়িত্বশীল হওয়ার পরামর্শও দেন তিনি।

অতীনবাবুর এই অভিযোগ অবশ্য খারিজ করেছেন হাসপাতালটির অধিকর্তা এবং বিশিষ্ট শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ অপূর্ব ঘোষ। তিনি জানান, নির্দিষ্ট প্রোটোকল মেনেই শিশুটির চিকিৎসা করা হয়েছে। তাকে অতিরিক্ত ফ্লুইড দেওয়া হয়নি বলেও দাবি করেন ওই চিকিৎসক। 

শীত পড়তে চললেও কলকাতা বা সংলগ্ন এলাকায় কিছুতেই ডেঙ্গুর দাপট কমানো যাচ্ছে না। এই অবস্থায় ডেঙ্গুতে মৃত্যু হলেই যেভাবে পুর প্রশাসনের পক্ষ থেকে তার দায় ঝেড়ে ফেলার চেষ্টা চলছে, তাতে সমস্যা আরও বাড়বে বলেই মত চিকিৎসকদের। ডেঙ্গুতে মৃত্যু হলেও তা আড়াল করার জন্যই প্রশাসনের শীর্ষ স্তর থেকে এমন চাপ আসছে বলে অভিযোগ চিকিৎসকদের একাংশের।