প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সম্প্রতি বিধানসভায় তৃণমূলের বিধায়ক উদয়ন গুহ (Udayan Guha) বিএসএফ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন। এবার উদয়নকে একহাত নিতে দেখা গেল বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষকে।
বিএসএফ(BSF) নিয়ে তৃণমূল নেতা উদয়ন গুহর (Udayan Guh) মন্তব্য নিয়ে আগেই তোপ দাগতে দেখা গিয়েছে শুভেন্দু অধিকারীকে। এবার উদয়নকে একহাত নিতে দেখা গেল বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষকে। বিজেপির (BJP) সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) Sofv বলেন, 'উদয়ন গুহর এলাকাতেই বিধানসভা-লোকসভা দু'বার জিতেছ ফেলেছে বিজেপি। বাংলাদেশি গরুপাচারকারীরা গুলিতে মারা গেলে ওনার কষ্ট হয়। উনি আসলে কি চান তা আমাদের জানা আছে। উনি আসলে মমতার মতোই কথা বলেন। উনি যা বলেছেন তা দেশদ্রোহীতার সমান।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সম্প্রতি বিধানসভায় তৃণমূলের বিধায়ক উদয়ন গুহ (Udayan Guha) বিএসএফ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন। দিনহাটার তৃণমূল বিধায়ক বলেন, 'পরীক্ষা করার নামে মহিলাদের উত্যক্ত করে বিএসএফ। সীমান্তে মহিলাদের গোপনাঙ্গে হাত দিয়ে তল্লাশি করে ওরা। ' তার এই বক্তব্য নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয় রাজনৈতিক মহলে। একের পর এক তোপ দাগতে থাকেন গেরুয়া শিবিরের নেতারা। এবার সরাসরি মাঠে নামলেন খোদ দিলীপ ঘোষ। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কদিন আগেই রাজ্যে এসে খোদ স্বরাষ্ট্র সচিব বিএসএফের ক্ষমতা বৃদ্ধি নিয়ে কথা বলে যান। তার পর থেকেই নিয়ে বিস্তর চাপানউতর চলছে গোটা রাজ্যেই।
আরও পড়ুন - হেঁটে গ্রাহকের বাড়িতে রেশন পৌঁছে দিলেন খোদ জেলা শাসক
সহজ কথায় বিধানসভার অন্দরে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির এহেন মন্তব্যে শোরগোল পড়ে যায়। কী ভাবে তিনি নিজের দেশের বাহিনী সম্পর্কে এমন মন্তব্য করতে পারেন তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে থাকে। ঘোলাজলে মাছ ধরতে নেমে পড়ে বিজেপিও। বিধানসভার অন্দরে করা তৃণমূল বিধায়কের এই মন্তব্য নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দিল বিএসএফও। তাদের সাফ দাবি, তারা যা করে সবটাই নিয়ম মেনে করে থাকে। এমনকী এই মন্তব্য সহকারে একটি বিবৃতিও প্রকাশ করা হয় সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনীর তরফে।
আরও পড়ুন - জামিন পেয়ে খোশমেজাজে মদন, নাতিকে নিয়ে কলকাতার রাস্তাতেই চাপলেন টয় ট্রেন
এদিকে মঙ্গলবারই পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় বিএসএফের এক্তিয়ার বৃদ্ধির বিরোধিতায় তৃণমূলের প্রস্তাব পাশ হয়। প্রস্তাবের পক্ষে পড়ল ১১২টি ভোট, বিপক্ষে ৬৩টি ভোট। নিয়ম অনুযায়ী দিল্লিতে পাঠানো হবে এই প্রস্তাব। আর তা নিয়েই ক্ষোভ ফুঁসছে বিজেপি। এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, "বিএসএফকে বিশেষ অধিকার দেওয়া হয়েছে। জওয়ানরা বহিরাগতদের ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেবে। কংগ্রেস সরকার- ইন্দিরা জী ১৯৭০ সালে এই ধরণের ক্ষমতা বৃদ্ধি করেছিল, বিল নিয়ে এসেছিল, তখন কিন্তু বিরোধিতা করা হয়নি। তাহলে এখন কীসের এত হইচই?