সংক্ষিপ্ত

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় দুয়ারে রেশন প্রকল্পের উদ্বোধন করতেই হেঁটে গ্রাহকের বাড়িতে রেশন দিয়ে এলেন পশ্চিম মেদিনীপুরে জেলা শাসক ও পুলিশ সুপার।

মঙ্গলবার গোটা রাজ্যব্যাপী দুয়ারে রেশন (duyare ration) প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়(CM Mamata banerjee)। রাজ্যের একাধিক জায়গায় ভার্চুয়ারি এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজনও করা হয়। অন্যান্য জায়গার মতো পশ্চিম মেদিনীপুরের(west midnapur) মূল শহরেও বিশাল প্লাজমা এলইডি লাগিয়ে তা ভার্চুয়ালি দেখানোর আয়োজন করা হয়েছিল৷ মেদিনীপুর শহরের জগনুতলা মাঠে সেই অনুষ্ঠানে সামিল হয়েছিল জেলার একাধিক বিধায়ক, জন প্রতিনিধিরা ছাড়াও জেলাশাসক ডা: রেশমী কমল, পুলিশ সুপার দীনেশ কুমারও৷ এই অনুষ্ঠান চলাকালীন সময়েই জেলা শাসক ও পুলিশ সুপারের কাজে পড়ল সাড়া।

সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রীর হাতে গোটা প্রকল্পের উদ্বোধনের পরে প্রতিকী ব্যবস্থা হিসাবে রেশনের সামগ্রী এক গ্রাহকের বাড়িতে পৌঁছে দিলেন মেদিনীপুরের জেলা শাসক ও পুলিশ সুপার(police supar)৷ যা নিয়ে ব্যাপক সাড়া পড়েছে বিভিন্ন মহলে। এমনকী তাদের কাজের ভূয়সী প্রশংসা করেছে সাধারণ মানুষও। মেদিনীপুর শহরের জগনুতলা মাঠে আয়োজিত সেই অনুষ্ঠানে শহরের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষও হাজির হয়েছিলেন৷ বিশাল মঞ্চের মাধ্যমে ভার্চুয়ালি শোনানো হয় মুখ্যমন্ত্রীর উদ্বোধনী বর্ক্তৃতা।

 

আরও পড়ুন –জামিন পেয়ে খোশমেজাজে মদন, নাতিকে নিয়ে কলকাতার রাস্তাতেই চাপলেন টয় ট্রেন

 

মুখ্যমন্ত্রীর উদ্বোধন পর্ব শেষ হতেই জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষুদ্র একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়৷ একটি রেশনের গাড়ির প্রতিকী উদ্বোধন করে রেশন বিলি করতে পাঠান জেলা শাসক ও পুলিশ সুপার৷ পরে কয়েকশ মিটার দুরে জগনুতলা এলাকার এক গ্রাহকের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন জেলা শাসক পুলিশ সুপার সহ জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা৷ সন্ধ্যার অন্ধকারেই মল্লিকা সিংহ নামে এক গ্রাহকের বাড়িতে গিয়ে তার বায়োমেট্রিক ছাপ নিয়ে তার বাড়িরে রেশনের চাল-চিনি-গম পৌঁছে দেন সরকারি আধিকারিকেরা৷ পরে দেওয়া হয় আরও গ্রাহকের বাড়িতে৷

আরও পড়ুন-ঈশান নয়, স্কুলের ছোট ছোট বাচ্চারাই সবথেকে দামি, স্কুল পরিদর্শনে এসে বললেন নুসরত
 

অন্যদিকে বাড়িতে এসে রেশন দিয়ে যাওয়ায় রীতিমতো খুশি রেশন গ্রাহক মল্লিকা সিংহ৷ রীতিমতো উচ্ছ্বসিত হয়ে তিনি বলেন, দীর্ঘ দেড় কিমি হেঁটে গিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে রেশন নিতে হত৷ পরে সেখান থেকে পুনরায় বয়ে বাড়িতে আনতে হত৷ সেই ঝামেলা একেবারে কমে গিয়েছে৷ আমরা খুবই খুশি৷এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে জেলা শাসক রেশমী কমল বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর উদ্বোধনের পরে একটি গাড়ি প্রতিকী হিসেবে উদ্বোধন করা হয়েছে৷ সেই সাথে দুজন রেশন গ্রাহকের বাড়িতে রেশনের সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হয়েছে৷ কাল থেকে আরও রেশন দেওয়া হবে। সরকারি আধিকারিকদের এই জনদরদি কাজ নিয়ে ইতিমধ্যেই জোরদার চর্চা শুরু হয়েছে বিভিন্ন মহলে।