সবুজ দিয়ে ঘেরা অযোধ্যা পাহাড়ের সাঁওতাল অধ্যুষিত গ্রাম। সেখানেই দুয়ারের সরকারের জন্য শিবির খোলা হয়েছে। কিন্তু, প্রকল্প সহ একাধিক বিষয় সঠিকভাবে বুঝতে পারছিলেন না স্থানীয়রা। সেই সময় আসরে নামেন জেলাশাসক।
দুয়ারে সরকার শিবিরে গিয়ে স্থানীয়দের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন পুরুলিয়ার জেলাশাসক রাহুল মজুমদার। সাঁওতালি ভাষায় দুয়ারে সরকার কর্মসূচির বিষয়টি স্থানীয়দের বুঝিয়ে দেন তিনি। স্বাস্থ্য সাথী সহ বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য কীভাবে আবেদন করতে হবে, আবেদন করার জন্য কী কী জিনিস প্রয়োজন রয়েছে তা সবই বুঝিয়ে দেন সাঁওতালি ভাষায়। আর তাঁকে এভাবে পাশে পেয়ে খুশি স্থানীয়রা।
সবুজ দিয়ে ঘেরা অযোধ্যা পাহাড়ের সাঁওতাল অধ্যুষিত গ্রাম। সেখানেই দুয়ারের সরকারের জন্য শিবির খোলা হয়েছে। কিন্তু, প্রকল্প সহ একাধিক বিষয় সঠিকভাবে বুঝতে পারছিলেন না স্থানীয়রা। সেই সময় আসরে নামেন জেলাশাসক। মাইক নিয়ে সাঁওতালি ভাষায় সবাইকে বিষয়টি বুঝিয়ে দেন। এমনকী, সরকারের নতুন প্রকল্প লক্ষ্মীর ভাণ্ডার থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য সাথী, কন্যাশ্রী সহ একাধিক প্রকল্পের কথা সাধারণ মানুষকে জানিয়ে দেন তিনি। আর এই প্রকল্পগুলিতে আবেদনের জন্য কোন কোন জিনিস প্রয়োজন রয়েছে তাও সাঁওতালি ভাষায় জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন- কংগ্রেস ছাড়ার পর অভিষেকের অফিসে সুস্মিতা দেব, যোগ দিলেন তৃণমূলে
আর জেলাশাসকের কাছ থেকে নিজেদের ভাষায় প্রকল্পের বিষয়গুলি বুঝতে পেরে বেজায় খুশি স্থানীয়রা। সকাল থেকেই একাধিক আবেদন জমা পড়তে শুরু করে শিবিরে। এমনকী সোমবার তুলনায় অনেক বেশি মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা গিয়েছে সেখানে। সকাল থেকে সন্তানকে কোলে নিয়ে ওই শিবিরে জমায়েত হতে দেখা গিয়েছে একাধিক মহিলাকে। আজ প্রায় ৪০০ মহিলা এই শিবিরে এসে নিজেদের দাবি জানিয়েছেন। আর খোদ জেলাশাসক বিষয়টি বুঝিয়ে দেওয়ার ফলে তাঁদের আরও সুবিধা হয়েছে। ফলে অন্যদিনের তুলনায় সোমবার ভিড় অনেক বেশি ছিল।
সোমবার থেকেই গোটা রাজ্যে শুরু হয়েছে দুয়ারে সরকার কর্মসূচি। আর এদিন থেকেই মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। এদিকে রাজ্যের প্রান্তিক জেলা পুরুলিয়ার অন্য প্রান্তের দুয়ারে সরকার শিবিরের থেকে অযোধ্যা পাহাড়ের এই দুর্গম অঞ্চলের শিবিরে খোদ জেলাশাসক রাহুল মজুমদার উপস্থিত থাকায় স্থানীয়দের সুবিধার পাশাপাশি শিবিরও অন্যমাত্রা পেয়েছে।