একদিকে করোনা আতঙ্ক অন্যদিকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ । ২০২০ সালে আমফানের প্রবল ক্ষয়ক্ষতি আজও দগদগে সকলের মনে। প্রকৃতির ধ্বংসলীলায় শেষ হয়েছিল মানুষের স্বাভাবিক জীবন। এমনকী বাংলার কিছু প্রান্তিক অঞ্চলের মানুষেরা এখনও ভুগছে। ঘূর্ণিঝড় আমফানের দাপটে বিধ্বস্ত হয়েছিল একাধিক এলাকা। ছিল না মাথা গোজার ঠাঁই, শেষ সম্বল হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছিল মানুষ। সেই পুরোনো চিত্রই আবার সামনে আসতে চলেছে। ফের আসতে চলেছে আরেকটা আমফান। আগামী মাসেই ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস জারি করেছে আবহাওয়া দফতর।
একদিকে করোনা আতঙ্ক অন্যদিকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ । ২০২০ সালে আমফানের প্রবল ক্ষয়ক্ষতি আজও দগদগে সকলের মনে। প্রকৃতির ধ্বংসলীলায় শেষ হয়েছিল মানুষের স্বাভাবিক জীবন। এমনকী বাংলার কিছু প্রান্তিক অঞ্চলের মানুষেরা এখনও ভুগছে। ঘূর্ণিঝড় আমফানের দাপটে বিধ্বস্ত হয়েছিল একাধিক এলাকা। ছিল না মাথা গোজার ঠাঁই, শেষ সম্বল হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছিল মানুষ। সেই পুরোনো চিত্রই আবার সামনে আসতে চলেছে। ফের আসতে চলেছে আরেকটা আমফান। আগামী মাসেই ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস জারি করেছে আবহাওয়া দফতর।
তাপমাত্রার পারদ যেন এখনই তুঙ্গে। রোদের দিকে তাকালেই যেন শরীরটা নিমেষে ঝিমিয়ে যাচ্ছে। একদিকে তাপমাত্রার দাবদাহ, আর অন্যদিকে শরীরে অস্বস্তি। বৈশাখের কাঠফাটা গরমের মধ্যে যখন বৃষ্টির অপেক্ষায় রয়েছে সকলে, তখনই ঘূর্ণিঝড়ের আভাস দিল আবহাওয়া দফতর। ইতিমধ্যেই রবিবার থেকে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। এর মধ্যেই আবার আগামী মাসের মাঝামাঝি সময়ে বঙ্গোপসাগরে তৈরি হতে চলেছে ঘূর্ণিঝড়। যা পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশ উপকূলে আঘাত হানতে পারে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
পূর্বাভাসে জানা গেছে, আগামী ৫ মের পরেই বঙ্গোপসাগরে তৈরি হতে পারে একটি ঘূর্ণাবর্ত, যা বড় আকারের ঘূর্ণিঝড়ের আকার নিতে পারে। আমফানের মতো শক্তি নিয়ে সেই ঝড় আছড়ে পড়তে পারে পশ্চিমবঙ্গ বা বাংলাদেশ উপকূলে। আবহবিদরা জানিয়েছেন, উত্তর ভারত মহাসাগর ও দক্ষিণ আন্দামান সাগরে সৃষ্টি হবে ওই বড় ঘূর্ণাবর্ত। এখন সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা রয়েছে ২৮-৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এবার ধীর ধীরে ক্রমশ শক্তি বাড়াতে শুরু করবে ঘূর্ণাবর্তটি। তারপরই নিম্নচাপ, গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েই ঘূর্ণিঝড়ের আকার নেবে। যদিও পুরোটাই নির্ভর করছে ঘূর্ণাবর্তের সৃষ্টিক উপর। এই মে মাস নাগাদই আছড়ে পড়েছিল ঘূর্ণিঝড় আমফান। তার দাপট আজও ভুলতে পারেনি। ঝড় চলে গেলেও তার তান্ডবলীলায় দীর্ঘদিন ধুকেছে কাতারে কাতারে মানুষ। মাথা গোজার ঠাঁই টুকু ছিল না। প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি করে নিমেষে জনজীবন লন্ডভন্ড করেছে এই আমফান। ঘূর্ণিঝড়টি পশ্চিমবঙ্গ বা বাংলদেশের গাঙ্গেয় বদ্বীপে আছড়ে পড়ার সম্বাবনা রয়েছে। যার ফলে উপকূলবর্তী এলাকার চরম ক্ষয়-ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। আর কয়েকদিন পরেই আছড়ে পড়তে পারে এই বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় । একের পর এক নয়া আতঙ্ক। আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে আমফানের মতো বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড়ের ফলে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে মুম্বই। আমফানের থেকেও ভয়াবহ হবে এই ঝড়। এরকম ঝড়ের তান্ডব আগে কখনও দেখেনি কেউ, তেমনটাই বলছেন আবহাওয়াবিদরা ।
আরও পড়ুন, সুখবর, স্বাস্থ্য পরিষেবায় সাড়ে ১১ হাজার চুক্তি নিয়োগ, নির্দেশিকা জারি স্বাস্থ্য দফতরের
আরও পড়ুন, ৪০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় এসি-র তার চুরি করে পালাল চোরের দল, সল্টলেকে গলদঘর্ম অবস্থা ঘরে-ঘরে
আরও পড়ুন, ঝালদা খুনের ঘটনায় ময়নাতদন্তে রিপোর্টে 'অসঙ্গতি', সিবিআইয়ের নজরে এবার বিডিও