করোনা গুজব, সামাজিক বয়কটের মুখে চিন ফেরত চিকিৎসকের পরিবার

  • ডাক্তারি পড়তে চিনে গিয়েছিল মেয়ে
  • করোনা গুজবে একঘরে পরিবারের লোকেরা
  • দোষীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের আশ্বাস পঞ্চায়েতের
  • উত্তর ২৪ পরগণার বসিরহাটের ঘটনা
     

Tanumoy Ghoshal | Published : Mar 17, 2020 12:20 PM IST

পড়াশোনার জন্য় বছর ছয়েক চিনে ছিলেন তিনি। এখন চাকরি করছেন দিল্লির একটি হাসপাতালে। চিকিৎসক মেয়েকে নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়েছেন পরিবারের লোকেরা। এলাকায় গুজব ছড়িয়েছে, ওই তরুণী নাকি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত! সংস্পর্শ এড়িয়ে চলছেন প্রতিবেশীরা, রীতিমতো সামাজিক বয়কটের মুখে পড়েছেন খোদ চিকিৎসকেরই বাড়ির লোকেরা। উত্তর ২৪ পরগণার বসিরহাটের ঘটনা।

আরও পড়ুন: করোনার মতোই ছোঁয়াচে হয়ে উঠেছে 'গোমূত্র পান', এবার তালিকায় রায়গঞ্জ

বসিরহাটের খোলাপোতা পঞ্চায়েতের দক্ষিণ মথুরাপুর গ্রামে বাড়ি ঋতুপর্ণা মণ্ডলের। ডাক্তারি পড়তে চিনে গিয়েছিলেন তিনি। পড়াশোনা শেষ করে দেশে ফিরেছেন গত বছরের জুন মাসে। চাকরিও পেয়ে গিয়েছেন, দিল্লির কস্তুরীবাগ হাসপাতালে কর্মরত ঋতুপর্ণা। পরিবারের লোকেদের অভিযোগ, স্রেফ দিল্লিতে চাকরি করেন বলে প্রতিবেশীদের ধারণা হয়েছে, ওই তরুণী নিজেও করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত! খালোপোতা পঞ্চায়েত এলাকা তো বটেই, দাবানলের মতো গুজব ছড়িয়েছে আশেপাশের গ্রামগুলিতেও। উদ্বিগ্ন সকলেই, ফোন করে খবর নিচ্ছেন বটে। তবে প্রতিবেশীরা যে তাঁদের সংস্পর্শ এড়িয়ে যাচ্ছে, তাও ভালোই টের পেয়েছেন ঋতুপর্ণার পরিবারের মা, বাবা ও বোনও। বারবার তাঁদের সেই ভুল ধারণা ভাঙানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এমনকী একথা শোনার পর ঋতুপ্রণা নিজে ভিডিও বার্তায় সকলের উদ্দেশে জানিয়েছেন, 'গুজবে কান দেবেন না। আমি সম্পূর্ণ সুস্থ আছি, আমার কর্মস্থলে রয়েছি। যাঁরা এই ধরনের গুজব রটাচ্ছেন, তাঁরা সম্পূর্ণ না জেনেই করছেন।' কিন্তু সেসব আর শুনছে কে! উল্টে ঋতুপর্ণাদের বাড়ির পরিচারিকা কোহিনূর বিবি-কেও অনেকেই সন্দেহে চোখে দেখছেন বলে অভিযোগ।

আরও পড়ুন: করোনায় উদ্বিগ্ন রাজ্যপাল, পরিস্থিতি জানতে চেয়ে চিঠি মুখ্যমন্ত্রীকে

চিকিৎসক ঋতুপর্ণার মণ্ডলের মা রেণুকা নিজেও একজন স্বাস্থ্যকর্মী। ঘটনার তদন্তের দাবি করেছেন তিনি। সত্যিই যদি কেউ গুজব রটিয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন খোলাপোতা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান অপরেশ মুখোপাধ্যায়ও।  তাঁর সাফ কথা. খোদ মুখ্যমন্ত্রী যখন মানুষ সতর্ক থাকতে বলছেন, গুজব না ছড়ানোর কথা বলছেন, তখন এমন ঘটনা কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবে না।

Share this article
click me!