হাতির হানা জমানো টাকা খুইয়ে রীতিমত বিপাকে গৃহবধূ। প্রায় সাড়ে ১৩ হাজার টাকা স্বামীর হাত থেকে লুকিয়ে রেখেছিলেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না।
হাতির হানায় বিপর্যস্ত পশ্চিম মেদিনীপুরের জঙ্গল লাগোয়া এলাকার বাসিন্দাদের। প্রায়ই হাতির পালের হানায় বাড়ি ভাঙে। ধান, চাল, গমের বস্তা বের করে নিয়ে চম্পট দিচ্ছে হাতির পাল। কিন্তু এবার এক নজিরবিহীন ঘটনার সাক্ষী থাকলেন শ্চিম মেদিনীপুর জেলার গুড়গুড়িপাল থানার শালিকা গ্রামে বাসিন্দারা। গ্রামেরই এক মহিলার জমাপুঁজি সাড়ে তেরো হাজার টাকা খেয়ে ফেলেছে এক গজরাখ। মাতার স্বামীর হাত থেকে সঞ্চয় বাঁচাতে গমের বস্তায় টাকা লুকিয়ে রেখেছিলেন গৃহবধূ। কিন্তু গতরাজের হাত তা আর বাঁচাতে না পেরে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।
সাইকেলে চড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন BDO সাহেব, চোখ কপালে উঠেছে চন্দ্রকোনার বাসিন্দাদের
স্থানীয়রা জানান, বুধবার রাত্রি দশটা নাগাদ ছটি হাতির একটি পাল গোপগড় বিটের পাঞ্জাশোলের জঙ্গল ছেড়ে প্রবেশ করে শালিকা গ্রামে। জঙ্গল লাগোয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে থাকা বাদল দোলই নামে এক ব্যক্তির ইঁটের বাড়ির দেওয়াল ভেঙ্গে দেয়। বাড়িতে মজুত থাকা রেশনের চাল, গম এর বস্তা শুঁড় দিয়ে বের করে জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে খেয়ে সাবাড় করে দেয়। আর ওই গমের বস্তার মধ্যেই নাকি রাখা ছিল সাড়ে তেরো হাজার টাকা। গমের সঙ্গেই তা হাতির পেটে চলে যায় বলে দাবি পরিবারের। কারণ রাতে বস্তা নিয়ে চলে যাবার পর ভোর বেলায় বস্তার খোঁজে পাশের জঙ্গলে গিয়েছিলেন পরিবারের লোকেরা। সেখানেই তাঁরা দেখেছেন শুধু বস্তাটি পড়ে রয়েছে, ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে গম। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বন দফতরের লোকজন। হাতিগুলিকে তাড়িয়ে ফের জঙ্গলে ফেরত পাঠায়। বন দফতরের কর্মীরা পৌঁছালে তাদের সামনে ক্ষোভ প্রকাশ করেন গ্রামবাসীরা। বাদল বাবুর স্ত্রী আশালতা দোলই জানান, "গতকাল রাত্রি দশটা নাগাদ হাতি এসে বাড়ির দেওয়াল ভেঙ্গে চাল-গম খেয়ে ফেলে। স্বামী মদ্যপ বলে তার নজর এড়িয়ে ১৩৫০০ টাকা গমের বস্তার মধ্যে লুকানো ছিল। গম সমেত সেই টাকা হাতি খেয়ে ফেলেছে হাতি।"
একমাত্র রান্নার তেলই পারে বাল্যবিবাহ বন্ধ করতে, মার্কিন গবেষণায় চাঞ্চল্যকর তথ্য
কোভিড ১৯এর মধ্যেই মারাত্মক আকার নিচ্ছে কালো ছত্রাক, মৃত্যুর হার প্রায় ৫০ শতাংশ
তবে এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ালো বনকর্মীদের মধ্যেও। এক বনকর্মী বলেন, বাড়ি ভাঙার ক্ষতিপূরণ মিলবে। কিন্তু টাকা খেয়ে নেওয়ার প্রমাণ দেখানো কি ভাবে সম্ভব।অন্যদিকে চাঁদড়ার শুকনাখালিতে থাকা দশটি হাতির অন্য একটি পালের তান্ডবে ক্ষতি হয় সদ্য রোয়া ধান জমির। যদিও হাতির ওই পালটিকে হুলা পার্টির লোকজন তাড়িয়ে কংসাবতী নদী পার করে মানিকপাড়ার দিকে পাঠাতে সক্ষম হন। আবার পিড়াকাটার নোনাশোলে সকাল বেলা ধানের চারা গাছ খেয়ে ফেলে একটি হাতি।