গভীর রাতে এলাকার হাতি তাণ্ডব, এক দম্পতি-সহ তিনজনের মৃত্যু। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়িতে। দেহ উদ্ধার করতে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের বিক্ষোভে মুখে পড়লেন পুলিশ ও বন দপ্তরের কর্মীরা। প্রাথমিক তদন্তের অনুমান, গরুমারার জঙ্গল থেকে বেরিয়ে রাতে ময়নাগু়ড়ির রামসাই এলাকায় তাণ্ডব চালিয়েছে হাতির দল।
ময়নাগুড়ি ব্লকের রামসাই এলাকার যাদবপুর চা বাগানের ডিপো লাইনে থাকতেন গাওনা ওঁড়াও ও তাঁর স্ত্রী কুমারী। ওই দম্পতির তিন সন্তান নেহাতই শিশু। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, সোমবার রাতে কালীপুজোর উপলক্ষ্যে এলাকার একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আয়োজন করা হয়েছিল। অনুষ্ঠান দেখতে গিয়েছিলেন গাওনা ও তাঁর স্ত্রীও। গভীর রাতে যখন অনুষ্ঠান দেখে বাড়ি ফিরছিলেন, তখন দাঁতাল হাতির সামনে পড় যান ওই দম্পতির। হাতের পায়ে পিষ্ট হয়ে মারা যান স্বামী ও স্ত্রী। স্রেফ রামসাই এলাকায়ই নয়, সোমবারে ময়নাগুড়ির ব্লকেরই কালামাটি এলাকায় হানা দেয় হাতির দল। সেখানেও রাতে বাড়ি ফেরার পথে হাতির হামলার মারা গিয়েছেন এক ব্যক্তি।
মঙ্গলবার সকালে মৃতদেহ পড়ে দেখতে পুলিশ খবর দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কিন্তু, পুলিশ ও বন দপ্তরের কর্মীরা যখন ঘটনাস্থলে পৌঁছন, তখন তাঁদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখান এলাকার মানুষ। তাঁদের অভিযোগ, গরুমারা অভয়ারণ্য লাগোয়া ওই এলাকার প্রায়ই হাতির দল লোকালয়ে ঢুকে পড়ে। একাধিকবার দুর্ঘটনাও ঘটেছে, কিন্তু বনদপ্তর কোনও পদক্ষেপ করে না। বস্তুত, সোমবার রাতে গরুমারা অভয়ারণ্য থেকেই হাতির বেরিয়েছিল বলে অনুমান করা হচ্ছে।