ঝড় বয়ে গেলো প্রবল বেগে। বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ার মতো অবস্থা হলো। এই পরিস্থিতিতে মাঝ রাত্রিরে বাজ পড়লো মাটির বাড়িতে। পুড়ে গেলো গোটা বাড়ি। তবু বরাতজোরে বেঁচে রইলেন পরিবারের সকলে।
কী ভাগ্য়িস ঝড়ের রাতে বাড়িতে ছিলেন না তাঁরা। আর তাই, বুধবার রাতে প্রবল ঝড়ৃবৃষ্টির সময়ে যখন বাড়িতে বাজ পড়লো, তখন বেঁচে গেলেন পরিবারের প্রত্য়েক সদস্য়। বুধবার ঘটনাটি ঘটে পশ্চিম মেদিনীপুরের গুড়গুড়িপালে।
বুধবার রাত এগারোটার পর বজ্রবিদ্য়ুৎ-সহ ঝড়বৃষ্টি শুরু হয় পশ্চিম গুড়গুড়িপালে। সেই সময়ে বাজ পড়ে গ্রামের এক মাটির বাড়িতে। পুড়ে যায় গোটা বাড়ি। ধোঁয়া দেখতে পেয়ে ছুটে আসে পাড়া-পড়শি। সবাই মিলে আগুন নেভানোর ব্য়বস্থা করে। যদিও এত কিছুর পরও পুরোপুরি ভস্মীভূত হয় গোটা বাড়ি। পুড়ে যায় ভোটার কার্ড, আধার কার্ড, ব্য়াঙ্কের পাশবই-সহ হাজার সাতেক টাকা। জানা গিয়েছে, বাড়িটি বিড়ি শ্রমিক কানু দলুইয়ের। কানু তাঁর পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে ওই রাতে তাঁর শ্য়ালিকার বাড়িতে গিয়ে থাকেন। আর তাই বরাতজোরে বেঁচে যায় গোটা পরিবার।
মহকুমা শাসক দীননারায়ণ ঘোষ জানিয়েছেন," বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বিভাগীয় দপ্তরকে দিয়ে প্রয়োজনীয় ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।" অন্য়দিকে মণিদহ গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফে অঞ্জন বেরাও পরিবারটির পাশে থাকার আশ্বাস দেন। এদিন সকালে গিয়ে দেখা যায়, পুড়ে যাওয়া বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন কানু দলুই।
প্রসঙ্গত, বুধবারে সন্ধে থেকে রাতের মধ্য়ে রাজ্য়ের বিভিন্ন জায়গায় প্রবল বেগে বয়ে যায় কালবৈশাখী। কোথাও কোথাও তা আমফানের দুঃস্মৃতিকেও ফিরিয়ে আনে। উপড়ে পড়ে বহু গাছ, বিদ্য়ুতের খুঁটি। ভেঙে পড়়ে অসংখ্য় মাটির বাড়ি, উড়ে যায় চালা।