শারীরিক অসুস্থতা পিছু ছাড়ছিল না। গ্রাস করেছিল মানসিক অবসাদ। শেষপর্যন্ত নিজের বাড়িতে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করলেন প্রাক্তন বাম বিধায়ক। শোকের ছায়া মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামে।
ছাত্র আন্দোলনে যোগ দিয়ে বামপন্থী রাজনীতিতে হাতেখড়ি। ২০০১ ও ২০০৬, পরপর দু'বার মুর্শিদাবাদের খড়গ্রাম থেকে বিধায়ক নির্বাচিত হন মানবেন্দ্রনাথ সাহা। জনপ্রতিনিধি ছিলেন ২০১১ সাল পর্যন্ত। শুক্রবার গভীর রাতে খড়গ্রামে কান্দুরি গ্রামের বাড়িতে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন ওই বামনেতা। গভীর রাতে নিজের ঘরে মানবেন্দ্রনাথ সাহাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান পরিবারের লোকেরা। তাঁরা জানিয়েছেন, 'দীর্ঘদিন ধরেই প্যানক্রিয়াসের অসুখ ভুগছিলেন তিনি। ইদানিং শারীরিক কষ্ট আর সহ্য করতে পারছিলেন না। প্রায়ই জীবন শেষ করে দেওয়ার কথা বলতেন।' বাড়ির লোকেদের দাবি, রোগের যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরেই আত্মহত্যা পথ বেছে নিয়েছেন খড়গ্রামে প্রাক্তন বাম বিধায়ক মানবেন্দ্রনাথ সাহা।
শনিবার সকালে খবর পেয়ে দলের প্রাক্তন বিধায়কের বাড়িতে যান এলাকার বাম কর্মী-সমর্থকরা। মানবেন্দ্রনাথ সাহার বাড়িতে গিয়েছিলেন খড়গ্রামের বর্তমান বিধায়ক আশিস মার্জিত-সহ তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা-কর্মীরাও। মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের পাঠানো হয়েছে কান্দি মহকুমা হাসপাতালে। প্রাথমিক তদন্তে অবশ্য পুলিশের অনুমান, আত্মহত্যাই করেছেন প্রাক্তন বিধায়ক মানবেন্দ্রনাথ সাহা। স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন তিনি।