করোনা রুখতে রাজ্য়ে চলছে দীর্ঘ লকডাউন। সংক্রমণ ঠেকাতে কোনও কোনও জায়গা হটস্পটও করে দেওয়া হয়েছে। যারে জেরে কাজ হারিয়েছে সাধারণ মানুষ। তার মধ্যে বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের আকাশছোঁয়া দাম। গরীব কৃষকদেরও জমানো টাকা প্রায় শেষের পথে। তাই লকডাউন লঙ্ঘন করেই পেটের টানে ঝড়-বৃষ্টির মধ্য়ে কৃষি কাজে বেরিয়েছিলেন মুর্শিদাবাদের খরগ্রাম থানার পার্বতীপুর গ্রামের এক কৃষক। কিন্তু আচমকা বজ্রাঘাতে প্রাণ হারান বছর পঞ্চাশের ওই কৃষক।
আরও পড়ুন, স্ক্রিন ছুঁয়েই প্রিয় জনের অনুভূতি, করোনা রুখতে শহরের হাসপাতালে চালু 'ভারচুয়াল ভিজিটিং আওয়ার্স'
প্রসঙ্গত, রাজ্য়ে টানা কয়েকদিন বজ্রবিদ্য়ুৎ সহ ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। যার জন্য় সতর্কও করেছে আবহাওয়া দফতর। এদিকে লকডাউনের মধ্য়েই রোজগার হারিয়ে কোনও রকম উপায় না দেখেই বাধ্য হয়ে জমিতে যান। ঝড়-বৃষ্টির মধ্যে কৃষি কাজের জন্য বাড়ি থেকে রবিবার বের হন বছর পঞ্চাশের সাহাবান শেখ নামের ওই কৃষক । শুরুতে সবকিছু ঠিক থাকলেও জমিতে ধান কাটার কাজ শেষ করে বাড়ি ফেরার মুখে আচমকা বাজ পড়ার মুখে পড়েন তিনি। বৃষ্টিপাতের পরিমাণের সঙ্গে ঘনঘন বজ্রপাতের শুরু করে। এরপর বজ্রপাতে খরগ্রাম থানার পার্বতীপুর গ্রামের ওই কৃষক প্রাণ হারান।
আরও পড়ুন, চিন থেকে সোজা কলকাতা বিমানবন্দরে, ১০ টন করোনা-চিকিৎসার সামগ্রী নিয়ে শহরে নামল উড়ান
অপরদিকে, বিকট আওয়াজ শুনে পার্শ্ববর্তী এলাকার লোকজন ছুটে এসে সাহাবান শেখকে উদ্ধার করে দ্রুত কান্দি মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান। চিকিৎসকরা সেখানেই তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এদিকে বর্তমান কঠোরতম পরিস্থিতিতে দুর্দশাগ্রস্ত এই পরিবারের পাশে সাহায্যের জন্য এগিয়ে এসেছে গোটা গ্রাম।
করোনা উপসর্গ সহ হাসপাতালে ভর্তি সল্টলেকের আরও ১, আতঙ্কে এলাকার সমস্ত গলি বন্ধ করল বাসিন্দারা
মল্লিক বাজারের নিউরো হাসপাতালে করোনা পজিটিভ ২ শীর্ষ কর্তা, সংক্রমণের আশঙ্কায় চূড়ান্ত সতর্কতা
এবার বেসরকারিতেও করোনা চিকিৎসায় মিলবে বিনামূল্য়ের পরিষেবা, হাসপাতালের খরচও দেবে রাজ্য সরকার